একদিকে পেশায় ডাক্তার। আবার অন্যদিকে প্রথম বার UPSC সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসেই দুর্দান্ত ফলাফল। তাও আবার কোনও কোচিং ছাড়াই। UPSC সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় এহেন ফলাফলের নিদর্শন রেখেছেন বারাণসীর আরতিকা শুক্লা। কোনও কোচিং ছাড়াই তিনি সংশ্লিষ্ট পরীক্ষায় ৪র্থ র্যাঙ্ক অর্জন করেছেন। আরতিকা শুক্লা বর্তমানে আজমেরের সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত রয়েছেন।
ডাক্তারি পড়তে শুরু করলেও IAS স্বপ্নকে পূরণ করার জন্য মাঝপথেই এমডি কোর্স ছেড়ে দেন আরতিকা শুক্লা। 1990 সালের 5 সেপ্টেম্বর জন্ম হয় আরতিকার। ছোটবেলা থেকেই তিনি পড়াশুনায় উজ্জ্বল ছাত্রী ছিলেন। বারাণসীর সেন্ট জনস স্কুল থেকে স্কুলের শিক্ষা শেষ করেন বছর 32-এর ইউপিএসসি কৃতী।
আরতিকার বাবা ডাঃ ব্রিজেশ শুক্লা হলেন একজন বিখ্যাত ডাক্তার। তিনি ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (IMA)-এর প্রাক্তন সচিবও ছিলেন। বাবার পথ অনুসরণ করেই প্রথম দিকে ডাক্তারি পড়তে শুরু করেন আরতিকা। তিনি ২০১৩ সালে নতুন দিল্লির মৌলানা আজাদ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। এমবিবিএস পড়া শেষ করে আরতিকা চণ্ডীগড়ের এসজিপিজিআই-এ এমডি পেডিয়াট্রিক্স কোর্সে ভর্তি হন। তারই মাঝে আবার তিনি ইউপিএসসি-এর প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেন।
আসলে 2012 সালে UPSC সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন আরতিকার বড় ভাই উৎকর্ষ শুক্লাও। আর ভাইয়ের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি 2014 সালে তাঁর এমডি পড়াশুনা মাঝপথে ছেড়ে দিয়েছিলেন। বর্তমানে ভারতীয় রেলওয়ে ট্রাফিক সার্ভিসেস (IRTS) এর আধিকারিক হিসাবে কাজ করেন উৎকর্ষ শুক্লা। আর মাঝপথে এমডি পড়া ছেড়ে দেওয়ার সময়েই তিনি বড়ভাইয়ের কাছ পরামর্শ চান। এক্ষেত্রে উৎকর্ষ বোনের সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থন জানান।
সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় সাফল্যের পিছনে তাই ভাইকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন আরতিকা। কারণ শুধু মানসিকরভাবে নয়, পরীক্ষার প্রস্তুতির যাবতীয় নোট এবং পরামর্শ দিয়ে বোনকে সাহায্য করেছিলেন উৎকর্ষ। তাই ভাইয়ের সাহায্য না পেলে কোনও কোচিং ক্লাস ছাড়াই প্রথমবার কেন্দ্রীয় সরকারের সবচেয়ে বড় পরীক্ষায় বসে এত বড় সাফল্য পাওয়া দুষ্কর ছিল বলেই মত আরতিকার।
প্রসঙ্গত, আরতিকা লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল একাডেমি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (LBSNAA) তাঁর প্রশিক্ষণ শেষ করতে যান। আর সেখানেই তাঁর 2015 সালের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় 3য় স্থানাধিকারী আরেক কৃতি ছাত্র জসমিত সিং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। পরবর্তীকালে 2017 সালে জসমিতের সঙ্গেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন আরতিকা।