জুটতো না খাবারও,ডাস্টবিন থেকে কুড়িয়ে খেয়েছেন, আজকের রাজপাল যাদবের লড়াই চোখে জল এনে দেবে!

বলিউডের অতি পরিচিত অভিনেতা তথা কমেডিয়ান ‘রাজপাল যাদব’ (Rajpal Yadav) ভুলভুলাইয়া সিনেমা থেকে তার জনপ্রিয়তা যেন এক আলাদাই পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। নিজের যোগ্যতার মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তবে এখনো এত কষ্ট করেও অন্যদের সমান হতে পারেনি সে।বর্তমানে তিন কন্যা এবং স্ত্রী নিয়ে তার সুখের সংসার কিন্তু একসময় অটো ভাড়া তো দূর খেতে পর্যন্ত পারত না সে।

পরিবারের আর্থিক পরিস্থিতি ভালো ছিল না। শুরুর জীবনে রোজগারের জন্য অনেক কষ্ট করতে হয় রাজপাল যাদব এবং তাঁর ভাইকে। সেখান থেকে নিজেকে বলিউডে প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা হিসেবে গড়ে তুলতে স্ট্রাগল করেন তিনি। একসময় দেনার দায়ে জর্জরিত ছিলেন বলিউডের কমেডিয়ান অভিনেতা রাজপাল যাদব। বলিউডের বহু জনপ্রিয় ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু ২০১৮ সালে ৫ কোটির ঋণ সময়মতো পরিশোধ করতে না পারায় তিন মাসের জেল হয়েছিল তাঁর।অভিনয়ের প্রতি টান থেকে ১৯৯৭ সালে তিনি সবকিছু ছেড়ে মুম্বাইতে চলে আসেন।

```

ছোট পর্দা দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু হয় রাজপাল যাদবের। দুরদর্শনের একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করে দর্শকের প্রশংসাও পান। এরপর শুরু হয় তার আসল লড়াই। বলিউডে নিজের জন্য জায়গা ছিনিয়ে নেওয়ার লড়াই। সেসময় রামগোপাল ভার্মা, মহেশ ভাট, শ্যাম বেনেগাল, প্রকাশ ঝাঁদের মত পরিচালকদের দরজায় দরজায় ঘুরতেন। এভাবেই হাল না ছেড়ে সংগ্রামের মঞ্চে টিকে যাওয়ার ধৈর্য থেকে রামগোপাল ভার্মার ১৭টি‌ ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি।

বর্তমানে অবশ্য এক বিলাসবহুল ফ্যাটে রয়েছে পরিবারের সঙ্গেই। যদিও অনেক ছোট থেকেই অভিনয়ের প্রতি তার বিশেষ আগ্রহ ছিল। শিশু শিল্পী হিসেবেই জীবন শুরু করে সে।‘মুঙ্গেরি লাল কে ভাই নৌলঙ্গি লাল’ নামে একটি সিনেমার মাধ্যমে সর্বপ্রথম নিজের অভিনয় জীবন শুরু করেন। এর পরে ‘দিল ক্যা কারে’ ছবি দিয়ে বলিউডে আসেন। এরপরে কমেডিয়ান রূপে একাধিক সিনেমাতেই তাকে দেখা গিয়েছিল। হিন্দির পাশাপাশি অনেক ভাষাতেই সে কাজ করে। তার প্রেম কাহিনী ও কিন্তু বলিউডের সিনেমাকে টেক্কা দেবে।

```

কানাডায় এক ছবি শুটিংয়ে গিয়েছিলেন তিনি আর সেখানে রাধা নামের একটি মেয়ের সাথে তার পরিচয় হয়। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব এবং প্রেমের সম্পর্কের সূচনা। মুম্বাইতে এসেও তাদের কথাবার্তা চলতে থাকে। এরপরেই তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় রাজপাল। যদিও রাধা তার দ্বিতীয় স্ত্রী। জানা যায়, এক রবিবার আচমকা নাকি তাঁরা অফার পেয়েছিল। যে বাড়িতে তাঁরা থাকতেন তার নীচেই একটি টেলিফোন বুথ ছিল। সেখান দিয়ে পালটা কল করতেই কেউ একজন জানিয়েছিলেন, মুম্বইয়ের সূচক বাংলোতে শ্যুটিং চলছে। শ্যুটিংয়ের জন্য চারজন প্রয়োজন। শুটিংয়ে কিছু করার নেই শুধু হাসতে হবে।

অভিনেতা জানান, তখনই বাসে করা চার বন্ধু সূচক বাংলোতে গিয়ে পৌঁছান। সেখানে প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন লোক ছিল। তাঁদের মধ্যে একজনকে নাকি সংলাপ বলতে হয়েছিল, বাকিদের হাসতে হয়েছিল।সে দিন হাসার জন্য ৫০০ টাকা করে পেয়েছিলেন রাজপালরা। অভিনেতা এবং তাঁর বন্ধুরা টাকা পেয়ে অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন। দুই ঘণ্টার শ্যুটের শেষে তাঁরা বাড়ি ফিরে পার্টিও করেছিলেন।