তীব্র ঝড় উঠেছে সূর্যে!খ’তরনাক প্রভাব পড়তে চলেছে পৃথিবীর উপর!সতর্কতা জারি NASA-র!

সূর্যের গনগনে আঁচে দুপুর ১২টার পর রাস্তার দিকে চোখ রাখা দায়। তীব্র দাবদাহের দাপট নাজেহাল করেছে পশ্চিমবঙ্গকে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় সারা ভারত জুড়ে তীব্র দাবদাহের ফলে সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ। বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার সাথে সাথেই বাড়তে থাকছে গরম, ফলে গরমের থেকে নিস্তার পাওয়া যাচ্ছে না। এর মাঝে নাসার তরফে খুব একটা সুখের কথা শোনা গেল না। সৌরঝড়ের সতর্কতা জারি করল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

বুধবার থেকেই সূর্যে নতুন করে ঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পৃথিবীর উপর তার প্রভাব দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সৌরঝড়ের ফলে গরম তাপের হলকা এসে লাগবে পৃথিবীর বুকে। এর ফলে ক্ষতির আশঙ্কার করা হচ্ছে।সপ্তাহখানেক আগেই সৌরঝড়ের সাক্ষী থেকেছিল সৌরজগৎ। পৃথিবীর গায়ে তার আঁচও এসে লেগেছিল। ভারত মহাসাগরের উপর সৌরঝড়ের প্রভাব পড়েছিল সবচেয়ে বেশি।

```

সৌর ঝড়ের ফলে কি পৃথিবীর উদ্ভিদ ও প্রাণীদের ক্ষতি হতে পারে?

সৌভাগ্যবশত পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল যথেষ্ট পুরু হওয়ায় সৌর ঝড়ের শক্তিকে শোষণ করে নিতে পারে। ঝড়ের খুব কম শক্তিই মাটি পর্যন্ত পৌঁছয়। তাই এর প্রভাব খুব বেশি আমরা বুঝতে পারি না। সন্দীপ মনে করছেন, এ যাত্রাতেও তার ব্যতিক্রম হবে না। ফলে প্রাণীদের বিপদের আশঙ্কা তেমন থাকবে না। বেতার সংযোগ কিছু ক্ষণের জন্য বিচ্ছিন্নও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এ বারের সৌরঝড় আরও বড় এবং আরও প্রভাবশালী বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নাসার বিজ্ঞানীদের মতে, সৌরঝড়ের ফলে পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে ফাটল ধরতে পারে। জিপিএস, বেতার যোগাযোগ সাময়িক ভাবে বিচ্ছিন্ন হতে পারে তার প্রভাবে। এমনকি, সৌরঝড় প্রভাব ফেলতে পারে ইন্টারনেট সংযোগ এবং মোবাইলের নেটওয়ার্কের উপরেও। কোথাও কোথাও বিদ্যুৎবিভ্রাটের ঘটনাও বিরল নয়।সৌরঝড়ে সূর্যের কেন্দ্র থেকে প্লাজ়মা এবং চৌম্বকীয় তরঙ্গের বিরাট বিস্ফোরণ সংঘটিত হয়। এর ফলে কোটি কোটি সৌরপদার্থ চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যেতে পারে। সৌরজগতে তার প্রভাব পড়া অনিবার্য।

পৃথিবীর উপরে সৌর ঝড়ের প্রভাব :

পৃথিবীর উপর সৌর ঝড় প্রবল প্রভাব ফেলতে পারে। বিড়লা তারামণ্ডলের প্রাক্তন অধিকর্তা দেবীপ্রসাদ দুয়ারি বলছেন, সৌর ঝড়ের জেরে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র থেকে শুরু করে ম্যাগনেটোস্ফিয়ার এবং আয়নোস্ফিয়ারও প্রভাবিত হতে পারে। এই ম্যাগনেটোস্ফিয়ারই আসলে সৌর ঝড়ের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে থাকে। সেই আচ্ছাদন থাকা সত্ত্বেও যে যে পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে-

```
  • মোবাইল যোগাযোগ
  • রেডিয়ো যোগাযোগ (ব্ল্যাকআউট)
  • জিপিএস ট্র্যাকিং
  • বিদ্যুৎ সরবরাহ
  • কৃত্রিম উপগ্রহের যাবতীয় কাজ

১৯৮৯ সালে এই মার্চ মাসেই প্রকাণ্ড সৌর ঝড় আছড়ে পড়েছিল। ন’ঘণ্টা ধরে ঝড়ের জেরে কানাডার কেবেক এবং নিউ ইংল্যান্ডের কিছু অংশের পাওয়ার স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেবার গ্রিডে বিদ্যুতের অতিরিক্ত সরবরাহের ফলে গলে গিয়েছিল পাওয়ার ট্রান্সফর্মার।