বাবার মৃত্যুর পর ১৫ হাজার লোন নিয়ে শুরু করেন ব্যাবসা, মাসে ১ লাখ ইনকাম এই গরীব কন্যার,স্যালুট

প্রত্যেকেই তার জীবনে একটা লড়াই করে, আমাদের সবাইকে জীবনের কোন না কোন একটা ধাপে লড়াই করতে হয়। এমনকি ভারতের অন্যতম ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি, একটা সময় তাকেও যথেষ্ট স্ট্রাগল করতে হয়েছে, তার বাবার অধিকাংশ প্রফিটেবল বিজনেসগুলি তার দাদার কাছে চলে যায় তবে তিনি ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রত্যাবর্তন করে লড়াই করে আজকের জিও থেকে শুরু করে অন্যান্য ব্যবসাতেও গিয়ে বড় একটা জায়গায় পৌঁছেছেন। তেমনি আজকে এমনই এক গরীব মহিলার গল্প আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি যে জীবনে কঠোর লড়াই করেছে এবং মাত্র ১৫ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে আজকে প্রায় প্রত্যেক মাসে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছে, অবশ্যই তার জন্য পরিশ্রম লাগছে অনেক।

মেয়েটির নাম মোনা। বাবার মৃত্যুর পর পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব তার উপরে চলে আসে এবং কিভাবে তার পরিবারকে সে দুবেলা দুমুটা অন্য তুলে দেবে, সেই নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে থাকে। আজকালকার দিনে যেকোনো ধরনের সরকারি চাকরির যা অবস্থা তাতে রিক্রুটমেন্ট হতে হতে আপনার বয়স কবে যে ২৫ থেকে ৩৫ হয়ে যাবে সেটা হয়তো আপনি ধরতেও পারবেন না, এই চাকরির কথা মাথায় না রেখে সে ভাবনাচিন্তা শুরু করে যে কিভাবে ব্যবসা করা যেতে পারে। এমন সময় ব্যবসা করার একটা ভালো প্ল্যান তার মাথায় আসে, কিন্তু তার জন্য দরকার ছিল কিছু অর্থ, এই পরিমাণ অর্থ অনেকের কাছেই থাকে কিন্তু তার অত্যন্ত করুন অবস্থায় কোন অর্থই তার কাছে ছিল না তাই প্রায় ১৫ হাজার টাকা সে ব্যাংক থেকে লোন নেয়।

```

মেয়েটি ভাবনা চিন্তা করে যে, বাড়িতে এসে খুব ভালো চা তৈরি করতে পারে তাই সে একটা চায়ের দোকান খুলবে। চা কে না পছন্দ করে? বেশিরভাগ বাড়িতে, সকালের শুরুটা হয় চা দিয়ে এবং আজকালকার দিনে বিভিন্ন জায়গায় চায়ের দোকানে সারাদিন ভিড় লেগেই থাকে কারণ মানুষ সারাদিন চা পান করে। এই মেয়েটি প্রথমে চা দিয়ে তার ব্যবসা শুরু করেন, ধীরে ধীরে সেখান থেকে যে অর্থ আসতে শুরু করে সেটিকে তিনি কাজে লাগান এবং চায়ের পাশাপাশি আরো সমস্ত রকমের ফাস্ট ফুড বিক্রির কাজও শুরু করেন। এমনকি সে নিজের আন্ডারে কয়েকজনকে চাকরিও দেয়। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তার দৈনিক ইনকাম।

তিনি তার স্টলের নাম দিয়েছেন আত্মনির্ভর চাই ওয়ালি। নিজের পরিশ্রমের উপর নির্ভর করে তিনি এই স্টলটি তৈরি করেছেন। গান্ধী ময়দানের কাছে এই চায়ের স্টল খুলেছেন মোনা। একটি সাক্ষাত্কারের সময় , তিনি বলেছিলেন যে তিনি মাত্র 15,000 টাকা বিনিয়োগ করে এই চা স্টলটি খুলেছিলেন এবং আজ তিনি ভাল লাভ করছেন।কিছু দিনের মধ্যে, আত্মনির্ভর চাই ওয়ালি সারা ইন্টারনেটে ভাইরাল হতে শুরু করে এবং তার কাজ মিডিয়াতেও প্রশংসিত হয়। তার দোকানে ১০ রকমের আপন চা পাওয়া যায়, যা পান করতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসেন।

```

সাক্ষাত্কারের সময়, মোনা বলেছিলেন যে আগে তিনি একটি সরকারী চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কিন্তু যখন তার আশা ব্যর্থ হতে শুরু করে, তখন তিনি কিছু করার চিন্তা করেছিলেন এবং তার পরিবারকে না জানিয়ে নিজেই 15,000 টাকা খরচ করেছিলেন।দোকানটা শুরু তার দোকান নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আলোচনা শুরু হলে তার পরিবারের সদস্যরাও বিষয়টি জানতে পারেন। এখন তার পরিবারের সদস্যরাও তাদের সমর্থন করেন।

আজ স্বাবলম্বী চা বিক্রেতা সফল অবস্থানে পৌঁছেছে। সে প্রতিদিন শত শত কাপ চা বিক্রি করে ভালো লাভ করে। শুধু তাই নয়, এখন চায়ের পাশাপাশি আত্মনির্ভর ফাস্টফুড নামে একটি ফাস্টফুড স্টলও স্থাপন করেন ।