বাবার চায়ের দোকানে কাপ ধুতেন যুবক, কঠোর পরিশ্রম আর জেদে যা করে দেখালেন,স্যালুট নেটিজেনদের !

আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমগুলিতে আমরা অনেক মানুষের জীবনের কঠিন লড়াইয়ের কথা জানতে পারি। দুমুঠো অন্য মুখে তোলার জন্য কত কত মানুষ যে কত কত রকমের লড়াই করছেন তা অনেক ক্ষেত্রেই আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি। আজ এরকমই একজন কঠোর পরিশ্রমী যুবকের গল্প সামনে এসেছে যে একটা সময় জীবনে অনেক লড়াই করেছে তবে আজকে এমন একটা জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে যে তার জন্য গর্ববোধ করে তার পুরো এলাকাবাসী।

আয়ুষ গোয়েল দিল্লির একটি সরকারি স্কুল রাজকিয়া প্রতিভা বিকাশ বিদ্যালয় থেকে তার স্কুলের পড়াশোনা শেষ করেছেন। এখান থেকে অধ্যয়ন করার পর, তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের হংসরাজ কলেজ থেকে বিএ ইকোনমিক্স অনার্সে ডিগ্রি অর্জন করেন এবং তারপর আইআইএম থেকে এমবিএ করেন। আয়ুশের বাবা একটি দোকান চালান, আর তার মা একজন গৃহিণী। বাবার সাথে এসে দোকানে কাজ করতো ছোট থেকেই বাবাকে সাহায্য করতো। কিন্তু তার মনে ছিল জেদ যে সে জীবনে বড় কিছু করতে চাই যাতে তার বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল হবে।

```

আয়ুষ গোয়ালের জীবন সহজ ছিল না:

আয়ুষ ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখতো বড় অফিসার হবার আর সেইমতো শুরু করে দেয় পড়াশোনা।রাজকিয়া প্রতিভা বিকাশ বিদ্যালয় দিল্লির একটি সরকারী প্রতিষ্ঠান যেখানে আয়ুষ গোয়েল তার স্কুলের পড়াশোনা শেষ করেছেন। স্নাতক হওয়ার পর, সে ক্যাট পরীক্ষা দিয়েছে এবং পাস করেছে। কিন্তু তারপরও কোনরকম চাকরি সে পাচ্ছিল না, এমন কি ব্যাপার দোকানে সে হেলপার হিসেবে কাজও করেছে। তবে পড়াশোনা করা সে বন্ধ করেনি, তার মনে ছিল অদম্য জেদ এবং কিন্তু বড় অফিসার হতে হলে দিতে হবে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা আর সিভিল সার্ভিস দেশের সবচেয়ে বড় এবং কঠিন পরীক্ষাগুলির মধ্যে একটি। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ যুবক এই পরীক্ষার জন্য আবেদন করে, তবে সফলতা কেবলমাত্র তারাই অর্জন করে যারা কঠোর পরিশ্রমের সাথে এর জন্য প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু এই পরীক্ষায় এমন কিছু আছে যা প্রত্যেক গ্র্যাজুয়েট একবার দিতে চায়। কিন্তু ১০০ জনের মধ্যে এতে সফল হয় ১ জনেরও কম।

তার জীবনে ছিল একটা টার্গেট আর সেই জন্য দিনরাত পড়াশোনা শুরু করেন। পড়াশুনার জন্য একটা টাইম টেবিল তৈরি করেছিলেন। তিনি দেড় বছর ধরে বাড়িতে থেকে UPSC-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং কোনও কোচিং ছাড়াই তিনি বই এবং অনলাইন ভিডিও দেখে প্রতিদিন 8 থেকে 10 ঘন্টা একটানা পড়াশোনা করেছেন। তিনি তার প্রথম প্রচেষ্টাতেই সাফল্য অর্জন করেন। এতে বাড়ির সবাই খুব খুশি। এত তাড়াতাড়ি গন্তব্যে পৌছতে পারবে সে ভাবতে পারেনি। তবে একবারে পাস করতে হবে এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে পরীক্ষা দেওয়া হয়েছিল।

```

প্রথম প্রচেষ্টায় 171 তম স্থান অর্জন করেছে:

সিভিল সার্ভিসের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার পর, তিনি তার প্রথম প্রচেষ্টা করেছিলেন এবং তার প্রথম প্রচেষ্টাতেই তিনি প্রিলিম পাস করেন এবং মেইনসে পৌঁছেন এবং অবশেষে ইন্টারভিউতে পৌঁছেন। আয়ুশের কঠোর পরিশ্রম ফলপ্রসূ হয় এবং তিনি 171 তম স্থান অর্জন করেন। তিনি UPSC পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য দিনরাত অধ্যয়ন করেছিলেন এবং তার কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠা তাকে একজন আইএএস অফিসার বানিয়েছিল।