একটা সময় ছিল যখন সারা বিশ্বকে নিজেদের কন্ট্রোলে আনার চেষ্টায় ছিল ব্রিটিশরা। পরিস্থিতি এতটাই ভাবো ছিল যে সেই সময় যদি মহাকাশে যাওয়ার ক্ষমতা থাকতো তাহলে চাঁদ এবং বিভিন্ন গ্রহে গিয়ে ব্রিটেন দাবি করত সেই সমস্ত গ্রহগুলি তাদের। আর বর্তমানে সেই একই ধরনের মানসিক সমস্যায় ভুগছে চীন, কারণ তাদেরও মনে হচ্ছে বিশ্বের যেখানে যা আছে সবকিছু তাদের। সেটা ভূমি হোক আর সমুদ্র, আর নিজেদের আধিপত্য দেখাতে গিয়ে তারা বাড়িয়েছে নৌ বাহিনীর ক্ষমতাও কিন্তু সবকিছু যে গায়ের জোরে হয় না সেটা হারে হারে টের পাচ্ছে চীনের নৌ বাহিনী।

ভারত মহাসাগরের বিভিন্ন জায়গায় চীন আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে যার কারণে মাঝেমধ্যে ভারতের সাথে ঝঞ্ঝাট লেগে যাচ্ছে। তবে এবার পীত সাগরের তলা দিয়ে পার হচ্ছিল চিনের একটি নিউক্লিয়ার সাবমেরিন। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় গোপনে জাসুসি করার জন্য চীনের এই নিউক্লিয়ার সাবমেরিন গুলি ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু তাদেরকে আটকানোর চেষ্টায় থাকে অনেক দেশ। যার কারনে পাতা থাকে অনেক ফাঁদ আর এবার সেই ফাঁদে পরলো চীন।সমুদ্রের গভীরে পাতা ফাঁদে আটকে পড়ে চিনা নৌবাহিনীর সেই ডুবোজাহাজটি।

```

সূত্রের খবর অনুযায়ী বিশাল বড় সাবমেরিনকে আটকানোর জন্য যে ধরনের তৈরি করা হয় সেই ফাঁদে পড়ার সাথে সাথেই এই সাবমেরিন গুলিতে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা যায়। এর ফলে ডুবোজাহাজের অক্সিজেন শেষ হয়ে যেতে পারে আবার এটি উপরে আসার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে অনেক ধরনের সমস্যাযই আসতে পারে। আর পীত সাগরের তলা দিয়ে বেরোতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে চীনের ডুবোজাহাজ, সমস্যা দেখা দেয় ডুবোজাহাজের অক্সিজেন সরবরাহকারী যন্ত্রে। অক্সিজেনের লেভেল ভীষণভাবে কমে যায় এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন টুকুও আর সেখানে ছিল না।

দীর্ঘ ক্ষণ অক্সিজেনের অভাব থাকায় সাবমেরিনের ভিতরে থাকা ক্যাপ্টেন-সহ ৫৫ জন চিনা সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। ডেলি মিররের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রিটেনের জাহাজকে আটকানোর জন্য ফাঁদ পাতা হয়েছিল।ব্রিটেনের একটি সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ২১ অগস্ট পীত সাগরে একটি ডুবোজাহাজ ‘চেন অ্যান্ড অ্যাঙ্কর’ ফাঁদে পড়ে। সেই ফাঁদেই আটকে পড়ে চিনা সাবমেরিনটি।স্থানীয় সময় অনুযায়ী সকাল ৮টা ১২মিনিটে এই ঘটনাটি ঘটে। ফাঁদে আটকে পড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ডুবোজাহাজে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেয়। অক্সিজেনের অভাবে ৫৫ জন চিনা সেনার মৃত্যু হয়।

```

এই খবর জানাজানি হওয়ার পর চিনের তরফে ঘটনাটি অসত্য বলে দাবি করা হয়েছে।চিন প্রশাসনের তরফে এই ঘটনাটি পুরোপুরি ভাবে অস্বীকার করা হয়। তার কারণ হলো চীন যদি মেনে নেয় যে এরকম ভাবে তাদের ডুবোজাহাজের পরিস্থিতি হয়েছে তাহলে প্রথমত নিজের দেশের লোকজনের কাছে সমালোচনার শিকার হতে হবে আবার সারা বিশ্বের কাছেও নাক কেটে যাবে চীনের, আবার তারা যে ডুবোজাহাজ সারা বিশ্বের ছড়িয়ে রেখেছে জাসুসী করার জন্য তাদের সেই ব্যাপারটিও ফাঁস হয়ে যাবে।