পড়ুয়াদের ক্লাস নেওয়ার কথা ছিল প্রধান শিক্ষিকার। কিন্তু তাঁর সময় নেই। কীসে ব্যস্ত ? একটু খোঁজখবর করতে দেখা গেল ফেসিয়াল করাচ্ছেন তিনি। স্কুলের মধ্যেই তা করছেন। যেখানে ছোট ছোট শিশুদের জন্য মিডডে মিল রান্না করা হয়, সেখানেই ফেসিয়াল করতে বসেছেন তিনি। এই গোটা ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ড করেছিলেন ওই স্কুলেরই এক সহশিক্ষিকা। আর ভিডিয়ো রেকর্ড করার শাস্তিও পেতে হল তাঁকে। তাঁর হাতের মধ্যে কামড়ে দিলেন প্রধান শিক্ষিকা।
কামড়ের তীব্রতা এতটাই যে হাত থেকে রক্ত পড়তে শুরু করে। উন্নাওয়ের ডান্ডামাউ গ্রামের বিঘাপুর ব্লকের একটি প্রাথমিক স্কুলে এই ঘটনাটি ঘটেছে। প্রধান শিক্ষিকা সঙ্গীত সিংয়ের কার্যকলাপের ভিডিয়ো ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। সহশিক্ষিকা আনম খান ভিডিয়োর পাশাপাশি তাঁর হাতের কামড়ের দাগও ছবিতে দেখিয়েছেন। প্রধান শিক্ষিকাকে হাতেনাতে ধরবেন এই মনস্থ করে স্কুলের রান্নাঘরে ক্যামেরা অন করে গিয়েছিলেন সহশিক্ষিকা আনম খান। কিন্তু সেই সময় তাঁর ফেসিয়াল প্রায় শেষের পথে।
প্রধান শিক্ষিকা সঙ্গীতা সিংয়ের মুখের সামনে ক্যামেরা ধরে ‘ভেরি গুড’ বলতে শোনা যায় তাঁকে। এর পরই ধড়মড় করে চেয়ার থেকে উঠে আসেন সঙ্গীতা। আনমকে তাড়া করে ধরে ফেলেন। মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। আর সেই সময়েই তাঁর হাতে একটি কামড় বসান। কামড়ের তীব্রতায় রক্ত বেরিয়ে আসে।ইতিমধ্য়ে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বিঘাপুর থানায়। সহশিক্ষিকা আনম খানকে আহত অবস্থায় স্থানীয় হাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দেখুন ভিডিও
সেখানেই তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়। এই ঘটনার খবরট ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে ব্লক স্তরের অফিসে। খবর পাওয়া মাত্র ব্লক এডুকেশন অফিসার সঙ্গীতা সিংয়ের বিরুদ্ধে একটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিঘাপুর সার্কল অফিসার মায়া রাই সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্য়েই একটি অভিযোগ তাদের কাছে এসেছে।
মায়ার কথায়, ডান্ডামাউ গ্রামের ওই স্কুলের সহশিক্ষিকাই অভিযোগ জানিয়েছেন। ক্লাসের সময় প্রধান শিক্ষিকা রূপচর্চাতে ব্যস্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই মতো ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে জানান বিঘাপুর সার্কল অফিসার মায়া রাই।