বাবা গরীব চাষী,গরিবদের সাহায্য করতে এমন মেশিন বানালেন ছেলে,স্যালুট নেটিজেনদের!

যুবকের নাম বীরেন্দ্র কুমার। ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছেন যে তার বাবা কতটা কষ্ট করে জমিতে লাঙ্গল দিয়ে তারপর চাষ করে। কোন বছর ধান হয় কোন বছর ভালো হয় না। সেখান থেকেই বাবার জন্য কিছু একটা করার ইচ্ছে ছিল যুবকের। আর সেই কারণে তৈরি করে ফেললেন জমির মান নির্ধারণ করবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্র। যুগান্তকারী আবিষ্কার এই যুবকের।

বর্তমান সময়ে জিপিএস (GPS) বা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম অত্যন্ত প্রচলিত একটি প্রযুক্তির নাম। বিভিন্ন সময়ে ম্যাপে কোনও অবস্থান জানার জন্য বা কোনও গন্তব্যে সহজে পৌঁছানোর জন্য জিপিএস ব্যবহার এখন অতি প্রচলিত। আর এই জিপিএসের আরও অত্যাধুনিক রূপান্তর হল ডিজিপিএস বা ডিফারেন্সিয়াল গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বীরেন্দ্র কুমার এক বিশেষ অত্যাধুনিক যন্ত্র তৈরি করেছেন। এর মাধ্যমে অতি সহজেই যে কোনও স্থানের মাটির ধরণ ও চরিত্র বুঝে ফেলা যাবে। মাটির প্রকৃতি সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট মানচিত্র আরও সহজ হয়ে যাবে।

```

এই যন্ত্রের সাহায্যে আরও বৈজ্ঞানিক উপায়ে মাটির ব্যবহার সম্ভব হবে বলে জানাচ্ছেন বৈজ্ঞানিক। কোন জমিতে নাইট্রোজেন, পটাশ ও ফসফেটের মাত্রা কত, জমিতে কী ধরনের খনিজ পদার্থ রয়েছে, ঠিক কী ধরনের কীটনাশক ও আগাছানাশক ব্যবহার করতে হবে, জল কতটুকু লাগবে – সেই সব কিছুর হদিশ দেবে এই অত্যাধুনিক যন্ত্র।প্রচলিত পদ্ধতিতে কৃষকরা নিজেদের জমির মাটির নমুনা নিকটবর্তী মাটি পরীক্ষাগারে নিয়ে যান। সেই পরীক্ষার ফলাফল জানতেও সময় লেগে যায়।

পাশাপাশি সেই ফলাফলের ভিত্তিতে মানচিত্র তৈরি করা আরও কষ্টকর ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এই যন্ত্র মাটির নমুনা পরীক্ষা করে দ্রুত সঠিক সময় তথ্য দিয়ে মানচিত্র তৈরি করে দিতে পারবে। জমির মাটির চরিত্র সঠিকভাবে বুঝতে সাহায্য করবে। এই ব্যাপারে বীরেন্দ্র কুমার বলেছেন, “আমরা প্রথমে এক হেক্টর জমিকে পুষ্টিগত মূল্যের বিচারে ৩৬টি গ্ৰিডে ভাগ করেছি। তারপর সার প্রদানকারী যন্ত্রাংশের সাথে ডিজিপিএস মডিউল এবং জিইউআই সংযুক্ত মাইক্রো প্রসেসর ও মাইক্রো কন্ট্রোলারের মাধ্যমে কোন গ্ৰিডে কতটুকু সার লাগবে, সেটি সহজেই নির্ণয় করতে সক্ষম হয়েছি।”

```

সাধারণভাবে ট্রাক্টরের সঙ্গে ০যুক্ত থাকবে এটি। উদ্ভাবকদের মতে তাঁদের তৈরি যন্ত্র জমিতে রাসায়নিক সার প্রয়োগ প্রায় ৩০ শতাংশ কমিয়ে দেবে। আর রাসায়নিক সার ব্যবহার যত কমানো সম্ভব হবে জমি বন্ধ্যা হওয়ার আশঙ্কাও তত কমবে। ফলে একদিকে জমির উর্বরতা যেমন বাড়ানো যাবে, অপরদিকে জমি ব্যবহারের বিষয়ে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগের আগ্ৰহ বৃদ্ধি পাবে।