যুবকের নাম মনোজিৎ। বাড়ি বাঁকুড়া জেলায়। ছোট থেকে বিজ্ঞানের দিকে ঝোঁক না থাকায় কলা বিভাগে পড়াশোনা। কিন্তু একটা সময়ে এসে বিজ্ঞানের প্রতি, বিশেষত বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের দিকে তার ঝোঁক চলে আসে, বৈজ্ঞানিক না বলে মেকানিকাল আবিষ্কার বললে আরো বেশি যুক্তি যুক্ত হয়। তাঁর সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং বিজ্ঞানের প্রতি অনুরাগ দেখার মতো। বিজ্ঞান চর্চা করে একের পর এক নতুন উদ্ভাবন করছেন বাঁকুড়ার মনোজিৎ। কলা বিভাগে পড়াশোনা করেও ইচ্ছা থাকলে যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে আলোড়ন সৃষ্টি করা যায়, এমনটাই বলছেন মনোজিৎ।
বাঁকুড়ার মেকানিক্যাল আইকন মনোজিৎ মণ্ডল এ বার হাজির তাঁর মডিফাইড ইলেকট্রিক বাইক নিয়ে। মাত্র ২৫ থেকে ৩০ টাকায় প্রায় দেড়শো কিলোমিটার চলতে পারে এই ইলেকট্রিক বাইক। একটি নাম করা কোম্পানির জনপ্রিয় মোটরসাইকেলকে সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক বাইকে মডিফাই করেন বাঁকুড়ার কার্যরিডাঙ্গার বাসিন্দা মনোজিৎ।সম্পূর্ণ সৌরশক্তিতে চারচাকা চালিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন মনোজিৎ। এ বার ইঞ্জিন, ক্লাচ এবং গিয়ার ছাড়াই হরিণের মতো দৌড়চ্ছে মনোজিতের ম্যাজিক বাইক। আর টা দেখেই রীতিমত অবাক এলাকার মানুষ।
আজকাল পেট্রোল ডিজেলের দাম পকেট খালি করে দিচ্ছে সাধারণ মানুষের। সেই সময়ে একবার চার্জ করলেই এই গাড়ি চলবে ১৫০ কিলোমিটার। ইঞ্জিন, গিয়ার এবং ক্লাচ না থাকায় আনুষাঙ্গিক খরচ নেই বললেই চলে এই বাইকে। সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব এই ইলেকট্রিক বাইক এ বার তাক লাগাল। ইঞ্জিন, ক্লাচ এবং গিয়ার ছাড়া মাত্র ২৫ টাকায় ১৫০ কিলোমিটার, এই অসম্ভবকে সম্ভব করলেন বাঁকুড়ার মনোজিত।
আজকাল ক্লাইমেট চেঞ্জ, গ্লোবাল ওয়ার্মিং, এই শব্দগুলি শোনা যাচ্ছে সব জায়গাতেই। এমনই এক সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে বাঁকুড়ার মনোজিৎ পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে নিজের নিত্য প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক শক্তির উৎস খুঁজে নিয়েছেন সূর্যের আলো থেকে। সৌরশক্তি চালিত গাড়ি এবং মোটরসাইকেল চালিয়ে আপামর বাঁকুড়াবাসীকে নতুন বার্তা দিচ্ছেন তিনি।
সব মিলিয়ে তার এই আবিষ্কার যে সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষদের অনেকটা উপকার করবে সেটা খুবই স্বাভাবিক, তাই এলাকার মানুষ মনোজিতের এই আবিষ্কারে খুবই খুশি, খুশি তার পরিবারও।