ডঃ নভজ্যোত সিমি ব্যক্তিগত ও পেশাগত কারণে বেশ চর্চিত হন৷ অপূর্ব সুন্দরী এই আইপিএস অফিসার যে কোনও মডেলকেও হার মানাবেন৷
অন্যান্য অনেক প্রার্থীর মতো, ডাঃ নভজ্যোত সিমিকে সিভিল সার্ভিসে প্রবেশের জন্য অনেক লড়াই করতে হয়৷ প্রাথমিকভাবে পেশায় ডাক্তার হলেও, তা ছেড়ে তিনি পুলিশের চাকরিতে যোগদান করেন। ডাঃ নভজ্যোত সিমি পাঞ্জাবের বাসিন্দা। তিনি ১৯৮৭ সালের ২১ডিসেম্বর পঞ্জাবের গুরুদাসপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা পাঞ্জাবের পাখোয়ালের মডেল পাবলিক স্কুল থেকে।
আইপিএস অফিসার ডঃ নভজ্যোত সিমি বাবা যশবন্ত সিং ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল এবং গবেষণা কেন্দ্র থেকে ডেন্টাল সার্জারি ডিগ্রি অর্জন করেন। ডাক্তার হওয়ার পর, সেই পেশা তাঁকে খুব বেশি খুশি করতে পারেনি৷ তিনি UPSC পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। ২০১৬ সালে, তিনি প্রথম প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি এবং দ্বিগুণ মাত্রয় পড়াশুনা করে, প্রস্তুতি নিয়ে ২০১৭ সালের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
২০১৭ সালে তার দ্বিতীয় প্রচেষ্টায়, ডঃ নভজ্যোত সিমি ৭৩৫ তম র্যাঙ্ক অর্জন করেছিলেন। আইপিএস হওয়ার পর তিনি বিহার ক্যাডার পান এবং বর্তমানে তিনি সেখানে কর্মরত। আইপিএস নভজ্যোত সিমি এসপি পদে নিযুক্ত হয়েছেন। রূপ ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশ আলোচনায় রয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে ডঃ নভজ্যোত সিমির ফলোয়ার সংখ্যা ১০ লক্ষেরও বেশি। সৌন্দর্যে, তিনি বহু মডেলকেও হার মানাবেন।
এমন সুন্দরী এবং দাপুটে আইপিএস ডাঃ নভজ্যোত সিমির বিয়ের খবর নিয়ে বহু চর্চা হয়৷ ১৪ফেব্রুয়ারি ২০২০-এ আইএএস তুষার সিংলাকে বিয়ে করেন তিনি। শুধুমাত্র তাঁর খুব কাছের মানুষই এই বিয়েতে যোগ দিয়েছিলেন। নিজের অফিসেই বিয়ে করেন নভজ্যোত সিমি৷ তিনি বলেছিলেন যে তাঁর বিয়ে ঘটা করে করার সময় ছিল না এবং সে কারণেই তিনি আইএএস তুষার সিংলার অফিসে বিয়ে করেছিলেন।
আইপিএস অফিসার নভজ্যোত সিমির স্বামী আইএএস তুষার সিংলাও পঞ্জাবের বাসিন্দা। তিনি ২০১৫ সালের পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। ইনস্টাগ্রামে জনপ্রিয় আইপিএস নভজ্যোত সিমি প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বামীর সঙ্গে ছবি শেয়ার করেন।