২ ছেলেকে নিয়ে থাকেন গরীব মা,সাগরে পাওয়া এক মাছ বদলে দিল ভাগ্য!দাম জানলে অবাক হবেন!

পেশা বলতে মাছ ধরা। তাও গভীর সমুদ্রে যাওয়ার সামর্থ্য ছিল না দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের (South 24 Parganas) বাসিন্দা পুষ্প করের। বাড়ির পাশে নদীর খাঁড়িতে জাল ফেলে যা মেলে, তা দিয়েই কোনওরকমে অন্নের জোগান হচ্ছিল বহুকাল ধরে। তবে আচমকা একটিমাত্র মাছ এক লহমায় ঘুরিয়ে দিল পুষ্পদেবীর ভাগ্যের চাকা! দিন আনি দিন খাই পরিবার; টাকার অভাবে মাছ ধরতে যাওয়া হয় না গভীর সমুদ্রেও। মুড়ি গঙ্গার মাছের ওপর ভরসা করে কোনো রকমে কাটে দিন। কিন্তু ভাগ্যের চাকা কখন ঘুরে যায় তা কেইই বা বলতে পারে। দক্ষিণ ২৪ পরগণার পুষ্প কর, এখন এক মাছের দৌলতে রাতারাতি বদলে গেল ভাগ্য।

দক্ষিণ ২৪ পরগণার সাগরের চকফুলডুবি গ্রামে বাড়ি পুষ্প করের। দুই ছেলেকে নিয়ে এই বৃদ্ধা প্রতিদিনই খাঁড়িতে জাল ফেলেন। যেদিন ভালো মাছ পড়ল সেদিন একটু টাকার মুখ দেখা গেলেও প্রতিটা দিন তো আর ভাগ্য সহায় থাকে না। এক জীর্ণ ঘরে কষ্টে সৃষ্টে কোনো রকমে সংসার চলে তাঁদের।কিন্তু ভাগ্য দেবতা তাদের কপালে লিখেছিলেন অন্য ইতিহাস। প্রতিদিনের মত জাল ফেলেছিলেন খাঁড়িতে। রবিবার বিকেলে সেই জাল তুলতে গিয়েই চক্ষু ছানা বড়া তাদের। জালে বিঁধেছে প্রকান্ড এক ভোলা মাছ। সাথে সাথে হই হই পড়ে যায় গোটা এলাকায়।

```

সবাই মিলে মাছটিকে তোলে। জানা যায় মাছটির ওজন ৫২ কেজি।কাকদ্বীপ বাজারে খবর গেলে সোমবার সকালেই সেখানে পৌঁছে যায় আড়তদাররা৷ মাছটির দাম ওঠে প্রতি কিলো ৬ হাজার টাকা বেশি। ৩ লাখ ২০ হাজারের বেশী দামে বিক্রি হয় মাছটি। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন স্বাভাবিক ভাবে এত বড় মাছ পাড়ের কাছাকাছি আসে না। সম্ভবত কোনো জাহাজের ধাক্কায় পাড়ের দিকে চলে এসেছে। যাই হোক, সেই মাছের দৌলতেই ছেঁড়া কাঁথাতেই এখন লাখ টাকার মালিক পুষ্প দেবী।

এতদিন প্রবল আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়েই দুই ছেলেকে নিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন ওই বৃদ্ধা। কিন্তু এই ভোলামাছটির দৌলতে আচমকা একদিনেই লক্ষাধিক টাকা পেয়ে যেন হাতে চাঁদ পান পুষ্পদেবী। কিভাবে খরচ করবেন তা-ই বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। কিন্তু বিশালাকার ওই মাছ কীভাবে ধরা পড়ল বৃদ্ধার জালে? মনে করা হচ্ছে, জাহাজের ধাক্কায় মাছটি পাড়ের দিকে চলে এসেছিল। না হলে এত বড় সামুদ্রিক মাছ খাঁড়ির জলে পাওয়ার কথা নয়।

```

প্রায় ৬০ কেজি ওজনের ভোলা মাছের খবর পৌঁছে যায় কাকদ্বীপ বাজারে। পরের দিন ভোরের আলো ফুটতেই কাকদ্বীপ বাজারের আড়তদাররা পৌঁছে যান পুষ্পদেবীর কাছে। দর কষাকষির পর ৬ হাজার টাকা কিলো হিসেবে বিশালাকার মাছটি বিক্রি করেন ওই বৃদ্ধা।