টোপর মাথায় হাজির বাঙালি বর,মায়ের বিয়ে দিয়ে নজির বঙ্গতনয়ার,সেলুট নেটিজেনদের

মাত্র ২ বছর বয়স মেয়ের, সেই সময় সঙ্গী হারিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় অনেকেই তাঁকে বলেছিলেন বিয়ে করে নতুন জীবন শুরুর কথা। ২৫ বছরের তরুণী সেই যাবতীয় পরামর্শ না মেনে মেয়েকে অবলম্বন করেই জীবনে এগিয়ে গিয়েছিলেন। এখন সেই ২৫ বছরের তরুণীর বয়স ৫০। বড় হয়েছে মেয়েও। মা নিজের দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে এতদিন পালন করে এসেছেন। এবার মেয়েও মায়ের জীবন গোছাতে উদ্যোগী। তাঁর ‘নেতৃত্বে’ মূলত নতুন করে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন মা।

আর সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় এই মুহূর্তে ভাইরাল। মৌসুমী চক্রবর্তীর মেয়ে দেবারতি চক্রবর্তীর উদ্যোগে সোশাল মিডিয়া আপ্লুত। তাঁরা মেঘালয়ের শিলংয়ের বাসিন্দা। দেবারতি জানান, তাঁর বাবা একজন বিখ্যাত চিকিৎসক ছিলেন।কিন্তু, ব্রেন হেমারেজে তাঁর আকষ্মিক মৃত্যু হয়। সেই সময় তাঁর মায়ের বয়স ছিল মাত্র ২৫ বছর এবং তাঁর বয়স মাত্র ২। বাবার মৃত্যুর পর মামাবাড়িতে থাকতে শুরু করেন দেবারতি এবং তাঁর মা। দেবারতি বলেন, “আমি সব সময় চাইছিলাম যাতে আমার মা একজন সঙ্গী পান জীবনে। কিন্তু, তিনি সবসময় বলতেন যদি আমি বিয়ে করি সেক্ষেত্রে তোর কী হবে!”

```

দেবারতি আরও জানান, তাঁর বাবার মৃত্যুর পর সম্পত্তি নিয়ে কাকাদের সঙ্গে বিস্তর গোলমাল বাধে। এমনকী, আইনি বিষয়টিও সামনে আসে। সেই সময় একা লড়াই করেছিলেন তাঁর মা। এখন তিনি মুম্বইয়ে কাজ করেন। চলতি বছর মার্চ মাসে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা স্বপনের সঙ্গে বিয়ে করেন দেবারতির মা। তাঁদের দু’জনেরই বয়স ৫০।

এই তরুণী বলেন, “আমি চাইতাম মায়ের কোনও সঙ্গী হোক এবং তিনি কারও সঙ্গে ঘর বাঁধুন। একটি মিউজিক অ্যাপের মাধ্যমে তাঁদের আলাপ হয়। প্রথমে এই বিষয়ে খুব একটা কথা বলতেন না মৌসুমী। পরে অবশ্য স্বপনের বিষয়ে মেয়েকে বলেন মৌসুমী।দেবারতি মায়ের জীবনে এই নতুন মানুষের প্রবেশে কার্যত আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান।

```

মা যাতে নতুনভাবে পথ চলা শুরু করেন সেজন্য তিনি উৎসাহিতও করেন। দেবারতি জানান, মায়ের বিয়ের জন্য নিজের হাতে কেনাকাটা করেছিলেন তিনি। বিয়ের পর মায়ের পাশাপাশি অত্যন্ত খুশি তিনিও। স্বপনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও অতি সুন্দর, জানান এই কন্যা।