গরীব দর্জির ছেলে,জন্ম থেকে নেই হাত,মনের জেদে পা কেই হাত বানিয়ে কঠোর পরিশ্রমে যা করে দেখালেন,স্যালুট

কোথায় আছি আপনার ভাগ্য এবং আপনার জীবনে কি হতে চলেছে সেই সমস্ত কিছু নাকি হাতের রেখার উপরেই লেখা থাকে কিন্তু যাদের হাত নেই তাহলে তাদের কি ভাগ্য বলে কিছু নেই? ভাগ্য যে সবসময় হাতের রেখার উপর নির্ভর করে না সেটাই প্রমাণ করলেন এই গরিব দর্জির ছেলে। অল্পতেই হার মেনে যায় যে সমস্ত লোকজন তাদেরকেও একটা শিক্ষা দিলেন এই প্রতিবন্ধী যুবক। নিজের বলতে তার হাত টুকু ও ছিল না তবে ছিল পরিশ্রম করার ইচ্ছা এবং জীবনের সফল হওয়ার কঠোর জেদ।

জন্ম থেকেই তার দুটো হাত নেই আর তখন থেকেই সাধারণ জীবন যাপনের জন্যও লড়াই শুরু তবে সেই লড়াইয়ে অনেক উপর-নিচ এসেছে, কিন্তু কখনো জীবন সংগ্রামের পর থেকে সরে আসেন নি এই যুবক। তিনি নিজের পরিশ্রম করে গেছেন, হাত না থাকার কারণে ছোট থেকেই তিনি পায়ে করে লেখা অভ্যাস করেন এবং ঠিকঠাক ভাবেই তিনি পায়ে করে লেখেন, এবং এই দিয়ে তিনি প্রথমে মাধ্যমিক তারপরে উচ্চ মাধ্যমিক এবং শেষে গ্রাজুয়েশন পর্যন্ত সম্পন্ন করেছেন, শুধু তাই নয় তিনি কম্পিউটার চালাতেও খুব ভালোভাবেই পারেন।

```

মধ্যপ্রদেশের দেবস জেলার এই যুবক, গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করার পরে মধ্যপ্রদেশ সরকারের পাটোয়ারির চাকরির জন্য ফরম ফিলাপ করেন, জানিয়ে রাখি যে এটি একটি সরকারি চাকরি যেখানে বিভিন্ন রকমের জমি সংক্রান্ত কার্যকলাপ হয়ে থাকে। সেই চাকরির ফরম ফিলাপ করে কঠোর পরিশ্রম সে করে এবং দিনে 10 থেকে 12 ঘন্টা করে সে পড়াশোনা করতে থাকে, পরীক্ষায় তিনি পাশ করেন এবং পুরো জেলায় প্রতিবন্ধী ক্যাটাগরিতে এক নম্বর স্থান দখল করেন।

তার এই কৃতকার্যে চরম খুশি পরিবার থেকে শুরু করে এলাকার লোকজন এমনকি তার বাড়িতে লোকজনের আসা যাওয়া থামছে না সকলেই তার এই সাফল্যের জন্য ভীষণ খুশি। তিনি নিজে জানাচ্ছেন যে কঠোর পরিশ্রমের ফসল তিনি পেয়েছেন এবং তিনি অত্যন্ত খুশি নিজের রেজাল্টের জন্য।

```

পাশাপাশি, এই যুবকের অনবদ্য সাফল্য সারা দেশের সমস্ত মানুষকে শিক্ষা দান করে যে জীবনে আপনার পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন আপনার নিজের হাত পর্যন্ত যদি না থাকে তবুও কঠোর পরিশ্রম আর মনে জেদ থাকলে আপনি যে কোন অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখাতে পারেন।