ঘটে গেছে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, বোমার থেকেও জোরাল কোনও শব্দ। একটা ভয়ঙ্কর প্রকট আওয়াজ। হুড়মুড়িয়ে কিছু একটা পড়ে গেল। বাইরে থেকে ধুলো ঝড়ে অন্ধকার হয়ে গেল কামরা। লাইট অফ! কয়েকটা সেকেন্ড! আর অসম্ভব হাহাকার। যখন চোখ খুলল, চারদিকে শুধুই ধ্বংসস্তূপ। তার মাঝ থেকে বেরিয়ে রয়েছে শরীর অংশ। কী হল, কীভাবে? প্রশ্ন করতেই থম মেরে গেল বছর উনিশের ছেলেটা। নাম নিবাস কুমার। দাদা সুভাষ কুমার। আশঙ্কাজনক। কটক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বসে। বলাইবাহুল্য অক্ষত। কিন্তু ভিতরে তার দগদগে ঘা।
নিবাস জামুইয়ের লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা। হাওড়া থেকে বিহার যাচ্ছিল সে। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধির প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন ঠিকই। কথা বলার সময়ে অস্বাভাবিকত্ব ফুটে উঠছিল চোখে মুখে। চোখের পলক পড়ছে। মুহূর্তে খুলে ফেলছে। হয়তো বা চোখের পলক পড়তেই ভেসে উঠছে চাপ চাপ রক্ত, রক্তমাখা দেহের স্তূপ, ছড়িয়ে থাকা জামাকাপড়, বাচ্চাদের খেলনা আর কান ধাঁধিয়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনের শব্দ, গোঙানি, আর্তনাদ। আতঙ্ক নিবাসের চোখেমুখে।ছেলেটা জানাল, তখন সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা সাতটা হবে। দাদা পাশের সিটেই বসে ছিল।
উল্টোদিকের সিটে এক দম্পতি আর বাচ্চা। বাচ্চাটাকে ভোলাতে তারা সবাই খেলাধুলো গল্প করছিল। রাতের খাবারের অর্ডার কী হবে, তাও ঠিক হয়ে গিয়েছিল। আচমকাই একটা বোমা ফাটার মতো শব্দ শুনতে পেয়েছিল ওরা। আর ধুলোর ঝড় ঢুকে পড়ে কামরার মধ্যে, লাইন বন্ধ…. বাকিটা ধোঁয়াশা। সম্ভবত, তারপর সেও অচৈতন্য হয়ে পড়েছিল। যখন জ্ঞান ফেরে হাসপাতালে।
ওড়িশার বালেশ্বরে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, মৃতের সংখ্যা ২৩৩। আহতের সংখ্যা ৩০০।
নিবাস জামুইয়ের লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা। হাওড়া থেকে বিহার যাচ্ছিল সে। প্রতিনিধির প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন ঠিকই। কথা বলার সময়ে অস্বাভাবিকত্ব ফুটে উঠছিল চোখে মুখে। চোখের পলক পড়ছে। মুহূর্তে খুলে ফেলছে।