দায়িত্ব নিয়েই ভারতকে চরম হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের

বেশ কিছু বিষয়কে কেন্দ্র করে একটা লম্বা সময় ধরে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে এগিয়েছে। অবশ্যই এর পিছনের কারণ পাকিস্তানের জঙ্গি মূলক কাজকর্ম। পাকিস্তান বিগত একটা লম্বা সময় ধরে জঙ্গি মূলক কাজকর্ম করেই চলেছে। তবে সেই দেশের রাজনীতি আর সেনা যে মিলেমিশে একাকার সেটা বারংবার স্পষ্ট হয়েছে।। এবার হাতে দায়িত্ব নিয়েই ভারতকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তানের নতুন সেনাপ্রধান।

সদ্য ভারতীয় সেনার নর্দান আর্মি কমান্ডার লেফ্টন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী একটি মন্তব্য করেছেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের দখল নিতে তৈরি ভারতীয় সেনা’। তিনি একই সঙ্গে জানান যে,’শুধু নির্দেশের অপেক্ষা’ রয়েছে। তিনি সেদিন জানিয়েছিলেন যে ভারতীয় সেনা ‘প্রস্তুত রয়েছে’। দেশের উপর আক্রমণ হানলে সেনাবাহিনী দেশকে রক্ষা করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে মন্তব্য করলেন পাকিস্তানের নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম মুনির।তিনি বলেন, ‘স্পষ্টভাবে বলতে চাই, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী সবসময়ই প্রস্তুত। আমাদের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিলে মাতৃভূমির প্রতি ইঞ্চি রক্ষায় শত্রুকে নিশ্চিহ্ন করতে আমাদের সেনাবাহিনী শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে।’

```

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিতর্কিত কাশ্মীর অঞ্চলকে বিভক্তকারী লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) পরিদর্শন করার সময় তিনি এ কথা বলেন।খবর এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের। তবে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের এমন বক্তব্যের পর ভারত তাৎক্ষণিক-ভাবে এ মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি বলে জানিয়েছে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি।

এদিকে, এই পর্বের আগে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এক সভায় পিওকে নিয়ে মন্তব্য করেন। তাঁকে সেদিন পিওকে নিয়ে জনতা প্রশ্ন করে। যার উত্তরে রাজনাথ সিং বলেছিলেন,’ধৈর্য ধরুন।’ কোথাও না কোথাও বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সাথে যুক্ত করতে উদ্যোগী, সেটা বেশ কিছুদিন আগেই স্পষ্ট হয়েছে। এবার ভারতের বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য করে পাকিস্তান ভারতকে আরো তাড়াতাড়ি POK কে ভারতের সাথে জুড়তে বেশি করে উদ্বুদ্ধ করছে।

```

সব মিলিয়ে পাকিস্তানি জেনারেলদের এই ধরনের মন্তব্যের ফলে ভারত পাকিস্তান সম্পর্কে যে আরো অবনতি হবে এবং পাকিস্তান আরো বেশি দারিদ্র্যের দিকে এগিয়ে যাবে সেটা পরিষ্কার। কারণ ভারতের পূর্ণ সমর্থন ছাড়া পাকিস্তান কোনভাবেই দারিদ্রের কলঙ্ক মেটাতে পারবে না, পাকিস্তানে বর্তমানে জিনিসপত্রের দাম অগ্নিমূল্য, যে তেল ভারতে ১৮০ টাকা সেটা পাকিস্তানে ৫০০ টাকা, যার থেকে বোঝা যায় পাকিস্তান বর্তমানে শ্রীলংকা হবার প্রস্তুতি নিচ্ছে।