পুত্রসন্তান লাভে পূর্ণ ইচ্ছে, মানতরক্ষায় পশুপতিনাথে গিয়ে আর ফিরলেন না সোনু

ছেলে হলে পুজো দেবেন। নেপালের পশুপতিনাথ মন্দিরে এমনই মানসিক করে এসেছিলেন উত্তর প্রদেশের গাজিপুরের বাসিন্দা সোনু জয়সওয়াল। এনডিটিভি-তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোনুর দু’টি কন্য়াসন্তান ছিল। তাঁর আত্মীয় জানিয়েছেন, ছেলে হলে নেপালের বিখ্য়াত পশুপতিনাথ মন্দিরে গিয়ে পুজো দেবেন বলে ঠিক করেছিলেন মদের দোকানের মালিক সোনু।

আর সেই পুজো দিতে গিয়েই নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হল ৩৫ বছরের সোনুর। সোনুর সঙ্গে মৃত্য়ু হয়েছে তাঁর আরও তিন বন্ধুর।ঘটনাচক্রে, দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তে ফেসবুক লাইভ করছিলেন তিনি। যে ভিডিওতে ধরা পড়েছে দুর্ঘটনার মুহূর্ত এবং বিমানে আগুন ধরে যাওয়ার ছবি। যা ইতিমধ্য়েই ভাইরাল হয়েছে।ছ’ মাস আগেই পুত্রসন্তানের জন্ম দেন সোনুর স্ত্রী। সেই আনন্দেই পশুপতিনাথ মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন সোনু।

```

গাজিপুরের চক জনাব গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন সোনু এবং তাঁর তিন বন্ধু। রবিবার নেপাল থেকে দুঃসংবাদ এসে পৌঁছনোর পর থেকেই তাঁদের বাড়িতে ভিড় করেছেন গ্রামের বাসিন্দারা। সোনুর আত্মীয় এবং গ্রামের প্রধান বিজয় জয়সওয়াল সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে বলেন, ‘গত ১০ জানুয়ারি বন্ধুদের সঙ্গে নেপালে গিয়েছিলেন সোনু। ওর প্রধান উদ্দেশ্য় ছিল পশুপতিনাথ মন্দিরে মানসিক পুজো দেওয়া। কারণ ছেলে হওয়ার ইচ্ছেপূরণ হয়েছিল ওর। কিন্তু নিয়তি ওর জন্য় অন্য় কিছু লিখে রেখেছিল।’

যদিও সোনুর স্ত্রী এবং সন্তানদের তাঁর মৃত্য়ু সংবাদের খবর জানানো হয়নি। তাঁরা একটি অন্য় বাড়িতে রয়েছেন।নেপালের দুর্ঘটনায় নিহত সোনুর তিন বন্ধুর নাম অভিষেক কুশওয়াহা (২৫), বিশাল শর্মা (২২) এবং অনিল কুমার রাজভর (২৭)।

```

স্থানীয় সূত্রে খবর, পোখরায় প্য়ারা গ্লাইডিং করার কথা ছিল চার বন্ধুর। পোখরা ঘুরেই গাজিপুরে ফেরার কথা ছিল তাঁদের। নেপালের বিমান দুর্ঘটনায় এই চারজন ছাড়াও আরও এক ভারতীয়ের মৃত্য়ু হয়েছে।