পকেট হবে গড়ের মাঠ,রিজার্ভ ব্যাংকের (RBI) নতুন সিদ্ধান্তে চরম দুর্ভোগে দেশবাসী!

লাগাম ছাড়া মূল্যবৃদ্ধি, রান্নার গ্যাসের দাম আকাশছোঁয়া, কাজের বাজারে অভাব প্রকট। এরই মধ্যে নতুন সিদ্ধান্ত নিলো ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (Reserve Bank Of India). দেশজুড়ে এই অসহনীয় পরিস্থিতি চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। কোনো অবস্থাতেই এই পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না কেন্দ্রীয় সরকার। একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে রিজার্ভ ব্যাংক।মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এর আগে রিজার্ভ ব্যাংক বেশ কয়েকবার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একাধিকবার রেপো রেট বৃদ্ধি করেছে রিজার্ভ ব্যাংক। এর ফলে সুদের হার বাড়ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। তবুও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সেভাবে কোনো কার্যকর ফল দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ফের মুদ্রাস্ফীতির সাথে লড়াই করার জন্য বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের নতুন সিদ্ধান্তঃ

ফের একবার রেপো রেট বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে অক্টোবর মাসে রেপো রেট বৃদ্ধি হয়েছিল। সেইবার ৫০ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত বেড়েছিল। একাধিকবার রেপো রেট বৃদ্ধি করার পরেও মুদ্রাস্ফীতি সেভাবে এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এবার এমপিসি বৈঠকের শেষে RBI গভর্নর ০.৩৫ শতাংশ Repo Rate বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে ৫.৪ শতাংশ রেপো রেটের হার ছিল। এবার ০.৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি করার ফলে ৬.২৫ শতাংশ হয়েছে। এর প্রভাব সরাসরি রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের উপরে পড়বে।

আরবিআই (RBI) গভর্নর জানাচ্ছেন, রেপো রেট বৃদ্ধির ঘোষণার পরে আগামী চার মাসের জন্য ৪ শতাংশের উপরে মুদ্রাস্ফীতি থাকতে পারে। ভারতের GDP বৃদ্ধির পরিমাণ ২০২৩ এর আর্থিক বছরে ৬.৮% হতে পারে। ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সক্ষমতা নিয়েও নিজের মত প্রকাশ করেছেন তিনি। Monetary Policy Committee এর ৬ সদস্যের মধ্যে ৫ সদস্য এই রেপো রেট বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন।

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের (Reserve Bank of India) এই সিদ্ধান্তের ফলে বাজারে খুচরো কমে আসবে। আর তার ফলে মুদ্রাস্ফীতির মত সমস্যা কমতে পারে। তিন দিন ধরে এই বৈঠকের পর আরবিআই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সমস্ত পর্যালোচনা করে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ানো হয়েছে ৩৫ পয়েন্ট। তবে এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাংকের উপর সরাসরি প্রভাব পড়তে চলেছে।

এই দুর্মূল্যের বাজারে মানুষ যেখানে কাজ হারিয়েছে, নতুন চাকরী নেই, একের পর এক সংস্থা বেসরকারি হচ্ছে সেখানে জনমুখী সিদ্ধান্ত না নিয়ে ক্রমে ক্রমে বিভিন্ন চার্জ বাড়িয়ে গ্রাহকের উপর বাড়তি চাপ দেওয়ার বিষয়ে সরকারের কি এই মুহুর্তে নজর দেওয়া উচিত? নিচে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।