কোন মানুষ যদি জীবনে কিছু একটা করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং তার পিছনে প্রাণপণ চেষ্টা করে তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই সাফল্য আসে। কারণ কথাতেই আছে যে চেষ্টা করে তার কখনো পরাজয় হয় না। হয়তো সেখান থেকে এসে জয় লাভ করে অথবা সেখান থেকে ভালো কিছু শিখে আসে যা পরবর্তীতে তাকে জয়লাভ করতে সাহায্য করে।।কথায় আছে যে ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। আর এই ইচ্ছা শক্তির সাথে যদি শিক্ষার শক্তিও যুক্ত হয়ে যায় তাহলে কোনো মানুষকে সফলতা অর্জন করতে কেউ আটকাতে পারে না। আজ এমন একজন ব্যক্তির কথা বলতে চলেছি যিনি অত্যন্ত দরিদ্র অবস্থাতে নিজের জীবন শুরু করলেও আজকে এমন জায়গায় পৌঁছেছেন যেখানে পৌঁছানো অনেকের স্বপ্ন।
দিব্যা তানওয়ার, হরিয়ানার মহেন্দরগড়ের বাসিন্দা, প্রত্যেক UPSC পরীক্ষার্থীর জন্য অনুপ্রেরণা। তার মা নিঃসন্দেহে কম শিক্ষিত ছিলেন কিন্তু তিনি সবসময় তার মেয়েকে পড়াশোনা করতে এবং এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করতেন। দিব্যা UPSC পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কোনও কোচিং নেননি। আইপিএস দিব্যা তানওয়ারের সাফল্যের গল্প জেনে নিন
বাবার মৃত্যুর পর জীবন ভেঙ্গে যায়
আইপিএস দিব্যা তানওয়ার নবোদয় বিদ্যালয় মহেন্দ্রগড় থেকে তার স্কুলিং করেছেন। তার বাড়ির অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। স্কুলে পড়ার সময় বাবার মৃত্যুতে তার পরিবারে দুর্ভোগের পাহাড় ভেঙে পড়ে। দিব্যা পড়ালেখায় মেধাবী ছিল আর সে কারণেই তার মা ববিতা তানওয়ার তার পড়ালেখায় কোনো বাধা আসতে দেননি।
কলেজের পর প্রস্তুতি নিয়েছেন
দিব্যার মা তার তিন সন্তান দিব্যা, তানিশা ও সাহিলকে সেলাই-সুইয়ের কাজ করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম করেছেন। বিএসসি পাশ করার পরই দিব্যা UPSC পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন। বাড়ির ছোট্ট ঘরে ১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি।
প্রথম প্রচেষ্টায় পাস
IPS দিব্যা তানওয়ার 2021 সালে 21 বছর বয়সে তার প্রথম প্রচেষ্টায় UPSC পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন (কনিষ্ঠতম IPS অফিসার)। তিনি এতে (আইপিএস দিব্যা তানওয়ার র্যাঙ্ক) 438 তম র্যাঙ্ক পেয়ে একজন আইপিএস অফিসার হয়েছিলেন। দিব্যার অনেক বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়রাও জানতেন না যে তিনি একটি বন্ধ ঘরে ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।