বিগত বেশ কিছুদিন ধরে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ডামাডোল অবস্থা। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার নিয়ে মূলত টানাটানি শুরু হয়েছিল এবং সেই সমস্যাকে মেটানোর অনেক চেষ্টাই করেছিল মহারাষ্ট্রের সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব থাকলে কিন্তু তার সত্বেও নিজেদের দলের অন্তরে চলতে থাকা এই কোন দলকে তিনি কোনোভাবেই আটকে রাখতে পারলেন না।
শুধু যে তিনি বেশ কিছু দলের নেতাদের হারিয়েছেন এমনটাই নয়, রীতিমত তাকেই দলের মধ্যে একদিক থেকে কোন ঠাসা করে দেওয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন দলের এত বড় একটা অংশ দলের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই ধরনের অ্যাকশন নিচ্ছে। কেন তারা উদ্ভবকে নিজেদের প্রধান হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না এটা সবথেকে বড় প্রশ্ন।
শিবসেনা দলটি যখন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাল ঠাকরে তিনি মূলত হিন্দুত্বের উপর দেশ করেই এই দল তৈরি করেছিলেন কিন্তু বর্তমানে সেই দল শুধুমাত্র হিন্দুত্বের উপর নির্ভর করে চলছে না বরং আরো এমন অনেক কিছু করছে যেগুলো বাল ঠাকরের আদর্শের বিরোধিতা। আর এই বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না দলের অনেকে।
তার ওপরে আবার মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে আদিত্য দলের মধ্যে তিনি যেন সর্বেসর্বা হয়ে উঠেছেন তাই দলের যে সমস্ত পুরনো করবিনা রয়েছে যারা দলটিকে নিজেরা পরিশ্রম করে তৈরি করেছে তারা এই বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না আর সেই কারণে তারা এই বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন বলেও অনেকে মনে করছেন। অর্থাৎ কোন একটা কারণে এই ঘটনা ঘটেনি অনেক কিছু রয়েছে এর মধ্যে যার জন্য এই ঘটনা ঘটেছে।
লোকের ছেলে জানিয়েছিলেন যে কয়েক মাস আগেই তিনি শিন্দেকে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য কিন্তু শিন্দে নাকি তখন হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন কথাটা যে তার নাকি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই অথচ আজকে তারাই বিদ্রোহ করছে। আগামীকাল ফ্লোর টেস্ট হবার আগেই আজকেই উদ্ভব ঠাকরে ইস্তফা দিয়ে দিলেন এখন এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।