মঙ্গলবার গভীর রাতে জয়নগর থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় বেলিয়াচন্ডী মোড়ের কাছে একটি অটোতে চেপে কয়েকজন সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করছে। সূত্রের তথ্যের গুরুত্ব দিয়ে জয়নগর থানার SI দিগন্ত মণ্ডলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দল সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছয় বেলিয়াচন্ডী এলাকায় এবং ওই অটোটিকে ঘিরে ধরে। সেই সময় অটোচালকসহ ওই অটো থেকে মোট ৬ জনকে ধরে ফেলে পুলিশ। অটোর ভিতর থেকে উদ্ধার হয় লোহার রড, ধারালো অস্ত্র এবং প্রচুর দড়ি। তাদের জেরা করতেই ফাঁস হলো চাঞ্চল্যকর মাস্টার প্ল্যান।
ধৃতদের নাম শেখ রফিকুল (বাড়ি মহেশতলা থানার অন্তর্গত সন্তোষপুর এলাকায়), নুরজামাল মোল্লা (বাড়ি বকুলতলা থানার মহিষ গোট এলাকায়), রফিকুল লস্কর (বাড়ি মগরাহাট থানার মামুদপুর এলাকায়), তাজউদ্দিন গাজী ও মিজানুর সর্দার (এদের বাড়ি ক্যানিং থানার টেংরাখালী ও সুন্ধিপুকুরিয়া এলাকায়) এবং ইসরাফিল খান (বাড়ি বারুইপুর থানার পূর্ব পাঁচগাছিয়া এলাকায়)।ইসরাফিল অটোচালক বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের এক আধিকারিক এই বিষয়ে জানান, “গোপন সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এটা জানা ছিল না যে এই ৬ জন কি কারণে সেখানে জড়ো হয়েছে…
পরে তাদের জেরা করে জানা যায় যে ওই ৬ জন ডাকাতি করার উদ্দেশে জড়ো হয়েছে। পুলিশ বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর তা জানা যায়”। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এদের ডাকাত দলে আরও বেশি সদস্য থাকতে পারে। সেই সদস্যদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। সেই জন্যই আরও কড়া জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে ধৃতরা কোথায় ডাকাতির উদ্দেশে জড়ো হয়েছিল সে ব্যাপারে জানার চেষ্টা করছে জয়নগর থানার পুলিশ। আজ ধৃতদেরকে বারুইপুর আদালতে পাঠানো হয়। তদন্তের স্বার্থে আদালতের কাছে ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
ফের একবার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে একটি বড় ডাকাতির ছক ভেস্তে দিল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদেরকে জেরা করে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে ডাকাতির উদ্দেশে তারা সেখানে জড়ো হয়েছিল।
সব মিলিয়ে একটি খারাপ ঘটনা ঘটার আগেই আটকে দিল পুলিশ।