বর্ধমানের গ্রামে দু পা অন্তর অন্তর হঠাৎ মিললো গর্ত! তদন্ত করতেই ফাঁস হলো চাঞ্চল্যকর তথ্য!

দু পা অন্তর অন্তর আচমকা ‘ভূমির পাতাল প্রবেশ’। সহজ ভাষায় বলতে গেলে মাঠের মধ্যে আচমকা বসে যাচ্ছে মাটি। তিন দিনে আট জায়গায় ভূমি ধস। মাঠ জুড়ে বিশাল বিশাল গর্ত। আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। মাটির নীচে হঠাৎ নামছে ধস। কোনটা আট ফুট তো কোনটা বিশ ফুট। আবার কোনটার তল খুঁজে পাওয়া যায়নি। কী কারণে এমন গর্ত তাঁর রহস্য নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।পূর্ব বর্ধমান জেলায় পূর্বস্থলী থানা এলাকায় মুকশিমপাড়া অঞ্চলের জয়কৃষ্ণপুর এলাকায় ঘটেছে চাঞ্চল্যকর ঘটনা।

জানা গিয়েছে, স্থানীয় আব্দুল রফিক সেখের বারো কাঠা বাস্তু জমির দু জায়গায় ধস নামে। বিষয়টি গুটিকয়েক প্রতিবেশীর নজরে আসে। মাঠের ভোঁসের নিচে তলিয়ে যাবার ভয়ে অনেকেই সতর্ক হয়ে যায়। গবাদি পশুদেরও ওই জমিতে যেতে দেওয়া হয় না। পরে রাতের দিকে ওই জমির আরও দু জায়গায় ভূমি ধস নামে।অন্যদিকে, জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের-ই একটি ঢালাই রাস্তার পাশে সামসুর আলমের পরিত্যক্ত কৃষিজমির দু জায়গায় ভূমি ধস নামে। কিন্তু ঠিক কি কারণে এরকমটা হচ্ছে এবং মাটি নিচে চলে যাচ্ছে অথবা কেউ কি এই গর্ত করেছে সেই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়াতে থাকে।

```

সেটা নজরে আসতেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরে দেখা যায়, পার্শ্ববর্তী নজাই মণ্ডলের কৃষিজমিতেও অনুরূপ ভূমি ধস নেমেছে। এরপরেই শনিবার সকাল থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরকম অবস্থায় এলাকায় আরও ভূমি ধস নামতে পারে বলে তারা আশা করছেন। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাদের জানানো হবে, বলে তারা দাবি করেছেন।

পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞানমঞ্চের সভাপতি তাপসকুমার কার্ফার মতে, ওই অঞ্চলে আগে খড়ি ও ভাগীরথীর গতিপথ ছিল। পরে দিক বদলে নদী দুটি অন্য দিক দিয়ে বয়। এর ফলে বিভিন্ন জায়গায় পলি বা বালি জমে ওয়াটার পকেট তৈরি হয়েছে। সেই ওয়াটার পকেটগুলোই স্থানীয়দের কাছে ভোঁস নামে পরিচিত। আচমকা তীব্র গরমে জল শুকিয়ে যাওয়ায় ওই ওয়াটার পকেটগুলিই এখন গর্ত হিসেবে ওইখানে দেখা যাচ্ছে। পরে বৃষ্টি হলে বা খাল-বিলে জলস্তর বাড়লে গর্ত ভরে স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।

```

সব মিলিয়ে এই ঘটনার ফলে এলাকা জুড়ে চরম চাঞ্চল ছড়িয়েছে। অবশ্য এক্ষেত্রে যে কোন ধরনের গুজব ছড়ানো থেকে অবশ্যই বারণ করছে প্রশাসন।