‘৪ বছর আগেই চাঁদে পৌঁছতাম যদি না…’, চন্দ্রযান নিয়ে এবার মুখ খুললেন কে সিভান !

চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য গর্বিত গোটা ভারত। ইসরোকে কুর্নিশ জানাচ্ছে বিশ্ববাসী। শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে যাচ্ছে সর্বত্র। বুধবার সন্ধ্যায় ইসরোর এই অসাধারণ কীর্তি লাইভ দেখে কোটি কোটি মানুষ। কিন্তু, এ সবের মধ্যেই বার বার ফিরে আসছে চার বছর আগেই একটি সন্ধ্যা।২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর। ঠিক এভাবেই সাজো সাজো রব ছিল বেঙ্গালুরুতে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সদর দফতরে। একইভাবে ল্যান্ডার বিক্রমের চাঁদ পদার্পণের মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য অপেক্ষায় ছিল গোটা ভারত। কিন্তু, সেদিন ভাগ্য সহায় ছিল না ইসরোর।

চাঁদের খুব কাছাকাছি পৌঁছেও সফল হয়নি সফট ল্যান্ডিং। ব্যর্থ হয়েছিল চন্দ্রযান-২ মিশন। অঝোরে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তৎকালীন ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তাঁকে বুকে জড়িয়ে আশ্বাস দেওয়ার সেই দৃশ্য আজও তাজা সকলের স্মৃতিতে।এরপর গঙ্গা দিয়ে জল অনেকদূর গড়িয়ে গিয়েছে। চার বছর পর আরও জোরদার প্রস্তুতি নিয়ে শুরু হয়েছিল চন্দ্রযান-৩ মিশন। যা বুধবার সন্ধ্যায় সফলভাবে সফট ল্যান্ডিং করে চন্দ্রজয় করেছে। এবার আর কোনও ভুল ত্রুটি করেনি ইসরো।

```

কিন্তু, চার বছর আগে ঠিক কী ঘটেছিল চন্দ্রযান ২-এর সঙ্গে। কী কারণে সেটি আছাড় খেয়ে ভেঙে পড়ে চাঁদের মাটিতে? এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন কে শিবন।চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর সংবাদমাধ্যমে কে শিবন বলেন, ‘চন্দ্রযান ২-এর সময় একটি ছোট্ট ভুল গোটা মিশনটির ব্যর্থতা ডেকে আনে। না হলে চার বছর আগেই আমরা চাঁদ জয় করে ফেলতাম। তবে চার বছর আগের সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার আমরা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। এবার আর কোনও ভুল ত্রুটি হয়নি। ফলে আমরা সফলভাবে চাঁদে ল্যান্ড করতে সক্ষম হয়েছি। ২০১৯ সালের ব্যর্থতার পরই আমরা চন্দ্রযান-৩ মিশনের সংকল্প গ্রহণ করেছিলাম।

সেই বছরই আমরা চন্দ্রযান ২-এর সমস্ত ভুলগুলি চিহ্নিত করে তা শুধরে নিয়েছিলাম। আর তার ফলস্বরূপ গতকাল আমরা চাঁদ জয় করতে পেরেছি।’ বুধবার ল্যান্ডার বিক্রমের চাঁদে অবতরণ কালে ইসরো হেডকোয়ার্টারেই উপস্থিত ছিলেন কে শিবন। বাকি বিজ্ঞানীদের সঙ্গে বসে ল্যান্ডার বিক্রমের চাঁদে অবতরণের সাক্ষী ছিলেন তিনি।

```

যতক্ষণ না পর্যন্ত ল্যান্ডার বিক্রমের পেট থেকে রোভার প্রজ্ঞান বেরিয়েছে, ততক্ষণ নিজের আসন থেকে একফোঁটাও নড়েননি কে শিবন। গোটা প্রক্রিয়ার পর তিনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত উৎফুল্ল।’