চাঁদের মাটিতে নয়া রহস্যের খোঁজ? দেখুন প্রজ্ঞান রোভারের নতুন রোমহর্ষক ভিডিয়ো

গুটি গুটি পায়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ইতি উতি ঘুরে বেড়াচ্ছে ভারতের রোভার প্রজ্ঞান। এখনও পর্যন্ত আট মিটারেরও বেশি পথ অতিক্রম করে ফেলেছে সে। অজানা-অচেনা দক্ষিণ মেরুর আনাচে কানাচে কী কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে, তার সন্ধান চালাচ্ছে প্রজ্ঞান। তার উপর অভিভাবকের মতো কড়া নজরদারি রাখছে ল্যান্ডার বিক্রম। শনিবারের দুপুরে একটি নয়া ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনে ইসরো। এক্স হ্যান্ডেলে (টুইটার) পোস্ট করা সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, সোলার প্যানেলের সাহায্য নিয়ে চলা রোভার প্রজ্ঞান ল্যান্ডার বিক্রম থেকে বেরিয়ে বেশ অনেকটাই পথ এগিয়ে গিয়েছে।

এদিক সেদিক মুভমেন্টও করছে সে। খুঁজে বেরাচ্ছে চাঁদের মাটিতে জল, খনিজ পদার্থ কিংবা অন্য অজানা বস্তুগুলিকে। সেই অনুসন্ধানের রোমহর্ষক ভিডিয়ো পাঠিয়ে দিয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম। যা দেখে তাজ্জব বনে গিয়েছে বিশ্ববাসী।সম্পূর্ণ অচেনা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথমবার পা ফেলে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে ভারত। এখনও পর্যন্ত চাঁদের সেই অজানা এলাকায় কোনও দেশ পাড়ি জমাতে পারেনি। ১৪০ কোটি ভারতবাসীকে গর্বিত করেছে ভারতের চন্দ্রযান-৩। সফল হয়েছে ইসরোর বিজ্ঞানীদের মেধা, পরিশ্রম আর অদম্য জেদ।চাঁদের বুকে এখন কেমন রয়েছে আমাদের দেশের ‘গর্ব’? তা জানতে উৎসুক সকলেই।

```

সেই আপডেটই টাইম টু টাইম দিয়ে চলেছে ইসরো। ঠিক যেমনটা পাওয়া গেল শনিবার দুপুরে। যদিও ইসরোর পোস্ট করা এই ভিডিয়োটি বিক্রম তুলেছে ২৫ অগাস্ট অর্থাৎ শুক্রবার। এবড়ো-খেবড়ো চাঁদের পিঠের ভিডিয়ো তুলে চলেছে বিক্রমের অত্যাধুনিক সুপার সেনসিটিভ হাই রেজলিউশন ক্যামেরা। রোভার পেলোডে LIBS এবং APXS চালু আছে। প্রোপালশন মডিউল, ল্যান্ডার মডিউল এবং রোভারের সমস্ত পেলোড চাঁদের নামা মাত্রই কাজ শুরু করে দিয়েছে। দেখুন ভিডিও :

https://twitter.com/chandrayaan_3/status/1695376688111133110?t=bGtxvIm4xlbmaJOTMfIOQw&s=19

ইসরোর তরফে টুইটে জানানো হয়েছে, পরিকল্পনা মাফিকই এগোচ্ছে রোভারের কার্যকলাপ। বিক্রম ল্যান্ডারে রম্ভা, চাস্তে এবং ইলসা নামে তিনটি যন্ত্র রয়েছে। এগুলি চাঁদে বিভিন্ন জটিল গবেষণার কাজ চালাবে। কিন্তু তার থেকে বড় একটি দায়িত্ব রয়েছে তাদের—রোভার প্রজ্ঞান যাতে কোনওভাবেই অবতরণস্থল থেকে ৩-৪ কিমি ব্যাসার্ধের বাইরে চলে না যেতে পারে, সেদিকে কড়া নজরদারি চালাতে হবে বিক্রমকেই।

```

সেই এখানে রোভার প্রজ্ঞানের লোকাল গার্ডিয়ান। কারণ রোভার প্রজ্ঞান ল্যান্ডার বিক্রমের পেট থেকে গড়িয়ে যাওয়ার পর তার উপর আর কোনও কন্ট্রোল নেই ইসরোর। তার সঙ্গে যাবতীয় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যমে এখন ল্যান্ডার বিক্রম। ফলে তাকে অভিভাবকের গুরুদায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।