বর্তমানে অনেকেই ব্যবসার প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। বিশেষ করে কম অর্থ বিনিয়োগ করে শুরু করা যায়, বা কম লোক বল নিয়ে যে ব্যবসা করা যায় এমন ব্যবসার দিকেই ঝোঁক বাড়ছে সকলের। এখানে এমনই একটি ব্যবসার বিষয়ে বলা হচ্ছে, যেটি বাড়িতে বসেই করা যাবে, এমনকি ছাত্র-ছাত্রী, বাড়ির মহিলারাও এই ব্যবসা করতে পারেন। এই ব্যবসায় আপনি 10 টাকায় জিনিস কিনে তা 90 টাকায় বিক্রি করতে পারেন।
এখানে যে ব্যবসার বিষয়ে বলা হচ্ছে তা এই মুহূর্তে সবচেয়ে সেরা ব্যবসা। অনলাইনে ফ্লিপকার্ট, মিশোর মতো কোম্পানির সঙ্গে আপনাকে ব্যবসা করতে হবে। বাড়ি থেকে এসে প্রোডাক্ট তুলে নিয়ে যাবে ক্যুরিয়ার বয়, পৌঁছে দেবে গ্রাহককে। আপনাকে শুধু 25 টাকায় জিনিস কিনে 100 টাকায় বিক্রি করতে হবে। এর জন্য অবশ্যই আপনাকে মিশো, ফ্লিপকার্টের মতো প্ল্যাটফর্মে সেলার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এই রেজিস্ট্রেশন করতে GSTIN নম্বরের প্রয়োজন হয়। 1000-2000 টাকা খরচ করে এই নম্বর আপনি পেতে পারেন।
এরপর কোম্পানিতে সেলার হিসেবে রেজিস্টার করতে হবে। এর জন্য আপনার নিজের মোবাইল নম্বর, প্যান কার্ড, ইমেইল, থাকতে হবে। এছাড়া বাড়িতে একটি প্রিন্টার থাকা প্রয়োজন। এটির সাহায্যে গ্রাহকের জন্য ইনভয়েস বা বিল তৈরি করতে হবে।আপনি এই ই-সেলিং প্ল্যাটফর্মে যে কোনও ধরনের জিনিসের ব্যবসা করতে পারেন। তবে এখানে যে জিনিসের ব্যবসার কথা বলা হচ্ছে, তা আপনি পাইকারি বাজার থেকে অনেক কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন। এখানে বলা হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল প্ল্যান্টের বিষয়ে। কলকাতায় আপনার বাড়ি হলে বড়বাজার থেকে এই জিনিসগুলো কিনতে হলে।
বড়বাজারে পাইকারি দোকান থেকে একটি ছোট আকারের আর্টিফিশিয়াল প্ল্যান্ট কেনা হলে তার জন্য আপনার খরচ হতে পারে 25 টাকা। এমনকি সঠিক দোকান খুঁজে যেতে পারলে 20 টাকাতেও নানা প্রোডাক্ট পাওয়া যায়। অনলাইনে ই-সেলিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে আপনি ওই প্রোডাক্টগুলো সহজেই 70- 100 টাকার মধ্যে বিক্রি করতে পারেন।এরফলে আপনি প্রতিটি প্রোডাক্টে 50 টাকা করে লাভ পাবেন।
প্যাকিং খরচ বাদ দিলেও 40 টাকা লাভ থাকবে। দিনে মাত্র 25 টি অর্ডার ডেলিভারি করা হলেও আপনার নিট লাভ থাকে প্রায় 1000 টাকা। যা মাসের শেষে 30,000 টাকা হবে। কিছুটা কম বেশি যদি আরও ধরা হয়, সেক্ষেত্রেও 15000 থেকে 20000 টাকার নিশ্চিত আয় থাকছেই।