দাদু কিনে রেখেছিলেন শেয়ার। ভুলেই গিয়েছিলেন। ৩০ বছর সেই শেয়ারের সার্টিফিকেট খুঁজে পেল নাতি। ৫০০ টাকার কেনা শেয়ার ৩০ বছর পর যা দাম দেবে, শুনেই চক্ষু চড়কগাছ নাতির। ৩০ বছর আগে কেনা শেয়ারগুলি এখন ডিম্যাট অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করছেন তিনি। এমনই অবাক করা ঘটনা ঘটেছে চণ্ডীগড়ের তন্ময় মতিওয়ালার সঙ্গে। মানুষ কথায় কথায় গুপ্তধনের কথা বলে বারবার, সঞ্চিত সম্পদ। এ যেন সত্যিই গুপ্তধন। দাদুর বিনিয়োগের বিরাট উপহার পেল নাতি।
১৯৯৪ সালে ৫০০ টাকা দিয়ে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার শেয়ার কিনে রেখেছিলেন তন্ময় মতিওয়ালার দাদু। কিনে ভুলেও গিয়েছিলেন সেটা। এখন সেই শেয়ার কেনার কাগজপত্র হাতে পেয়েছেন নাতি তন্ময় মতিওয়ালা। আর সেই কাগজ দেখে এখন শেয়ারের দাম কত হবে তা জানতে চান তিনি। এমন ঘটনার উল্লেখ করে চিকিৎসক তন্ময় মতিওয়ালা এক্স হ্যান্ডলে সেই পোস্ট করেন এবং মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায় সমাজমাধ্যমে। নেটিজেনরা আগ্রহী হয়ে ওঠে সকলেই, ৩০ বছর আগে কেনা সেই শেয়ারের এখন দাম কত হয়েছে তা জানার জন্য।
সমাজমাধ্যমে তন্ময় মতিওয়ালা লিখেছেন যে, আজ থেকে ৩০ বছর আগে আমার দাদু SBI-এর ৫০টি শেয়ার কিনে রেখেছিলেন ৫০০ টাকা মূল্যে। শুধু তাই নয়, কিনে ভুলেও গিয়েছিলেন। কেন এগুলি কিনেছিলেন বা আদৌ কিনেছিলেন কিনা তা মনেও ছিল না তাঁর। আমি আমার পরিবারের নথি একত্রিত করতে গিয়ে এই কাগজটি হাতে পাই। ডিম্যাটে রূপান্তরিত করতে পাঠিয়েছি সেই কাগজ।’
আর এই পোস্টে প্রচুর কমেন্ট আসতে শুরু করে যে এখন শেয়ারগুলির দাম কত হয়েছে অর্থাৎ বিক্রি করলে তিনি কত টাকা পাবেন ? ১৯৯৪ সালে ৫০০ টাকা মূল্যের সেই শেয়ার এখন ৩০ বছরে বেড়েছে ৭৫০ গুণ। ১০ টাকার প্রতিটি শেয়ার এখন ট্রেড করছে ৭৫০ টাকার আশেপাশে। ফলে ৫০০ টাকার বিনিয়োগ হয়েছে ৩.৭৫ লক্ষ টাকা।
সেবি জানিয়েছে আগেই যে কারও কাছে ফিজিক্যাল শেয়ার কেনা থাকলে, তা অবশ্যই ইলেকট্রনিক ফর্ম্যাটে আনতে হবে। ফলে শেয়ারগুলিকে ডিম্যাটে স্থানান্তর করা খুবই কঠিন কাজ। স্থানান্তর করার জন্য তন্ময়ের পরিবারের সকলেই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
এজন্য তন্ময়কে পরামর্শদাতার সাহায্যও নিতে হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে তিনি জানিয়েছেন যে, এই শেয়ার বিক্রির কথা ভাবছেন না তিনি।