আম কুড়তে গিয়েছিল ৯ বছরের গরীব মেয়ে, আর বাড়ি ফেরা হলো না! ভেঙে পড়লেন মা!

গ্রীষ্মকালে গ্রামের দিকে এখানে ওখানে আম কুড়োতে যাওয়াটা ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের একটা খুব প্রিয় জিনিস, বিকালের দিকে ঝড় উঠলেই আম গাছের তলায় ছুটে পৌঁছে যায় গ্রামের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা। কিন্তু এই আমকুড়াতে যাওয়ায় যে জীবনের সব থেকে বড় কাল হয়ে দাঁড়াবে এমন কথা হয়তো কল্পনাও করতে পারেনি গরিব ঘরের এক ছোট্ট মেয়ে খুশি এবং এখনো পর্যন্ত এই ঘটনা বিশ্বাসই করে উঠতে পারছেন না তার মা।

আম কুড়োতে গিয়ে হলো তার মর্মান্তিক পরিণতি। বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে এসে মৃত্যু হল নাবালিকার। মৃতের নাম খুশি বাউরি (৯)। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে গলসি স্টেশন পশ্চিম বাউরি পাড়া এলাকায়। মাঠে অচৈতন্যভাবে পড়ে থাকা অবস্থায় এলাকার মানুষজন তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। কিভাবে ঘটল তার মৃত্যু ? আমকুড়া তে গিয়ে ঝড় বা বজ্রপাতে মৃত্যু হয়নি তার, মৃত্যু হয়েছে কিছু মানুষের ভুলের জন্য।

```

জানা গিয়েছে, মাঠের ধারে বিদ্যুতের তার অনেকটাই নিচে ঝুলছিল। একপ্রকার মাটিতে পড়ে গিয়েছে বলাই যায়। এ দিকে, ওই নাবালিকা তখন আম কুড়োতে যায়। তখনই ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা। বিদ্যুতের তার লেগে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে।এলাকাবাসীরা জানান, মাঠের ধারে বিদ্যুতের তার অনেকটাই নিচে। তারপর ঝড়ে সেই তার একেবারেই মাটিতে পড়ে গিয়েছে। শিশুটি যখন আম কুড়তে যায়, তখন বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে এসে অচৈতন্য হয়ে পড়ে।

এরপর এলাকাবাসীরা পাওয়ার বন্ধ করে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুতের তার অনেকটা নিচে ঝুলছিল। বারবার বিদ্যুৎ দফতরকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। প্রসঙ্গত এই প্রথমবার নয় সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে অনেকবার অনেক জায়গায় এই ধরনের ঘটনা ঘটলেও অনেক ক্ষেত্রেই প্রশাসনকে উদাসীন দেখা যায় এই বিষয়ে।

```

সাধারণ মানুষের কমপ্লেন করা সত্ত্বেও কোন কাজই হয় না, অথচ কোন নেতা-মন্ত্রী বা ছবির নায়ক নায়িকাদের কোন সমস্যা হলে সেখানে সার্ভিস দেওয়ার জন্য সদা প্রস্তুত থাকে প্রশাসন।