চন্দ্র যানের পর এবার বিরাট সাফল্য : গগনযান নিয়ে বিরাট সুখবর দিল ইসরো !

মহাকাশ গবেষণায় দাপট দেখাচ্ছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পদার্পণ করে ইতিহাস গড়েছিল ভারত যা অন্য কোন দেশ করে দেখাতে পারেনি সেটাই করেছিল ভারতের মহাকাশ সংস্থা। আর তখনই এই ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা যে কোন অল্প কিছুতে নিজেদেরকে আটকাবে না এবং আরো বেশি কিছু করার উদ্দেশ্যে এগিয়ে যাবে সেটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, আর এবারে আরো এক সুখবর দিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।

দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি মহাকাশযানে চাপিয়ে মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে ISRO। ওই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে গগনযান অভিযান।২০২৫ সালের গগনযান মিশনের মাধ্যমে প্রথমবার নিজেদের মহাকাশযানে চাপিয়ে নভোশ্চরদের মহাকাশে পাঠাতে চায় ইসরো। সেই অভিযান বাস্তবায়িত করতে আজ প্রথম টেস্ট ভেহিকেলের উৎক্ষেপণ করতে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। আজ সকাল আটটার সময় গগনযানের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে সেই উৎক্ষেপণ পিছিয়ে দেওয়া হয়। শেষে সকাল ৮টার বদলে ১০টায় টেস্ট ফ্লাইট উৎক্ষেপণ করা হয়।

```

উল্লেখ্য, গগনযান মিশনে মহাকাশে মানুষ পাঠাতে চায় ইসরো। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিমি উচ্চতায় একটি মহাকাশযান পাঠাতে চলেছে ইসরো। সেই যানে থাকবেন তিন মহাকাশচারী। তিনদিন পর সেটি ভারত মহাসাগরে ফিরে আসবে। ২০২৫ সালে গগনযান মিশনের সময় যদি কোনও কিছু পরিকল্পনা মতো না হয়, তাহলে নভোশ্চরদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যাচ্ছে কিনা, সেটা পরীক্ষা করে দেখতেই আজকের এই পরীক্ষা চালায় ইসরো। কোন কোন বিষয়ে সমস্যা হতে পারে, সেগুলি চিহ্নিত করবে ইসরো।

এই আবহে আজ সকাল ১০টা গগনযান মিশনের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয়। আজ ভূপৃষ্ঠের ১৭ কিলোমিটার ওপরে পাঠানো হয় TV-D1-কে। সেখানে উঠে ‘ক্রু মডিউল’ এবং ‘ক্রু এসকেপ মডিউল’ আলাদা হয়ে যাবে। খুলে যায় প্যারাশ্যুট। তারপর তা ফের পৃথিবীর দিকে নেমে আসে। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে অবতরণ করে সেই মডিউল। সেটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে ভারতীয় নৌবাহিনী। সেজন্য সুরক্ষিত দূরত্বে একটি জাহাজ মোতায়েন করা হয়েছিল। ডুবুরিরা ছিলেন সেখানে। তাঁরাই ক্রেন দিয়ে ক্রিউ মডিউল তুলে রাখতে সাহায্য করেন।

```

প্রথমে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়লেও তা সারিয়ে সফলভাবে উৎক্ষেপন করল গগনযান মিশনের TV-D1 ফ্লাইট। ওই যানে রয়েছে ক্রু মডিউল এবং ক্রু এসকেপ মডিউল। প্রথমবার উৎক্ষেপনের ৫ সেকেন্ড আগে ইগনাইশেনের সমস্যা ধরা পড়ে। সেই ত্রুটি সারিয়ে সকাল ১০টা নাগাদ শ্রীহরিকোটা থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপন করে।২০২৫ সালে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ISRO-র। তাদের তরফে জানানো হয়েছে মূল মিশনের আগে এটি একপ্রকার মহড়া।

পরীক্ষামূলক এই ফ্লাইটটি মাটি থেকে ১৭ কিলোমিটার উপরে ওঠে। তারপর মূল যান থেকে আলাদা হয়ে যায় ক্রু মডিউল। সেখান থেকে বঙ্গোপসাগরে নামিয়ে আনা হয়। দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি মহাকাশযানে চাপিয়ে মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে ISRO। ওই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে গগনযান অভিযান।