কিছুদিন আগেই উড়িষ্যাতে ঘটেছিল এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনা যার স্মৃতি এখনো পর্যন্ত ভুলতে পারছে না সাধারণ মানুষ এবং সেই দুর্ঘটনায় অসংখ্য মানুষ তাদের প্রাণ হারিয়েছে নিজেদের আত্মীয়-স্বজনকে হারিয়েছে অসংখ্য সাধারণ মানুষ যার মধ্যে অনেকে পশ্চিমবঙ্গের ছিল তবে সেই উড়িষ্যাতেই আরো একবার ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে । যা রীতিমতো আবারও উদ্বেগ বাড়িয়ে দিচ্ছে ট্রেন যাত্রীদের মধ্যে।
বিধ্বংসী করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার আতঙ্কের রেশ না কাটতেই আবারও ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ওড়িশায়৷ রায়গড় জেলার আমবাডোলা এলাকাতেই লাইনচ্যুত হয়েছে মালগাড়ির ৪ টি ওয়াগন৷সূত্র বলছে, আমবাডোলা থেকে লাঞ্জিগড়ে একটি কারখানার দিকে যাচ্ছিল মালগাড়িটি৷ সেই সময়েই আচমকা ঘটে যায় দুর্ঘটনা৷ তবে যেহেতু একটি বিশেষ রুট দিয়ে মালগাড়িটি যাচ্ছিল তাই লাইনচ্যুত হয়ে পড়লেও রেল পরিষেবায় কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি৷ এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি৷
গত ২ জুন ওড়িশার বালাসোরে রেল দুর্ঘটনার পর থেকেই তোলপাড় দেশ। জানা গিয়েছে, ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছিল আপ ১২৮৪১ শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এর জেরেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বাহানগা বাজার স্টেশন অতিক্রম করার পর লুপ লাইনে ঢুকে পড়েছিল চেন্নাইগামী এক্সপ্রেস ট্রেনটি।
ঘটনার জেরে ২৭৫ জনের মৃ্ত্যু হয়েছে, কত মানুষ আহত তার কোনও হিসেব নেই। দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকটি ট্রেন ও মালগাড়ি লাইনচ্যুত হয়েছে৷ একাধিকবার ট্রেন বেলাইন হওয়ার ঘটনা কেন ঘটছে? রেলের সুরক্ষা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন৷
সব মিলিয়ে এর ফলে যে সাধারণ মানুষের জীবন আরও বেশি সমস্যায় জর্জরিত হয়ে যাচ্ছে এটা পরিষ্কার কারণ একটা ট্রেন দুর্ঘটনা মানে অসংখ্য অসাধারণ মানুষের প্রাণ যাওয়া এবং তার থেকেও বেশি সংখ্য মানুষের মধ্যে এই ট্রেন দুর্ঘটনা সম্পর্কিত ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া, কারণ ট্রেনে প্রত্যেকদিন সারা ভারতের প্রায় কয়েক কোটি মানুষ যাতায়াত করে।