‘পাক সেনাকে জমি দখল করতে দেব না’! পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পাকিস্তান বিরোধী গণবিক্ষোভ জনতার!

পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে বিচ্ছিন্ন করার পর থেকেই অসন্তোষ চলছিল গিলিগিট-বালটিস্তানে। এ বার সেখানকার বাসিন্দারা পথে নেমে পাকিস্তান- বিরোধী বিক্ষোভে সামিল হলেন। একদা জম্মু ও কাশ্মীরের এই অংশের নাগরিকদের অভিযোগ, তাঁদের জোর করে উচ্ছেদের চেষ্টা চালাচ্ছে পাক সেনা।চলতি সপ্তাহে রাজধানী গিলগিট এবং আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় পাক সেনা এবং সীমান্তরক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত রেঞ্জার্স ও ফ্রন্টিয়ার কোর বাহিনীর কনভয় ঘিরে দফায় দফায় বিক্ষোভ হয়েছে।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সেই ভিডিয়ো। এমনকি, গিলিগিট-বালটিস্তানের ওই বিক্ষোভকারীদের অনেকে সরাসরি ভারতের পক্ষে স্লোগান দিয়েছেন বলেও পাক সংবাদমাধ্যমের একাংশ জানিয়েছে!ব্রিটিশ জমানায় ‘রাজন্যশাসিত রাজ্য’ জম্মু ও কাশ্মীরের অংশ ছিল কারাকোরাম পর্বত ঘেরা গিলগিট-বালটিস্তান। পাকিস্তান ১৯৪৮ সালে জম্মু ও কাশ্মীর উপত্যকার কিছু অংশের পাশাপাশি ওই অঞ্চলটিও দখল করে।

```

কিন্তু গিলগিট-বালটিস্তানকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজফ্‌ফরাবাদের নিয়ন্ত্রণে না এনে ‘ফেডেরালি অ্যাডমিনিস্টারড্ নর্দার্ন এরিয়া’ নাম দিয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। নয়া নামকরণের পরে ২০০৯ সালে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণে প্রথম স্থানীয় আইনসভার ভোট হয় গিলগিট-বালটিস্তানে। সে সময় নয়াদিল্লির তরফে ইসলামাবাদের এই উদ্যোগের বিরোধিতা করা হয়েছিল।

এর পর ২০১৮ সালে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট সেখানে প্রাদেশিক আইনসভার ভোট করানোর জন্য সে দেশের সরকারকে ২০১৮ সালের প্রশাসনিক আইন সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই আইন সংশোধনের পর ২০২০-তে প্রাদেশিক আইনসভার ভোট হলেও গিলগিট-বালটিস্তানের অধিবাসীদের একাংশ অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার দাবি তুলেছিলেন। এ বার সেখানে সরাসরি শুরু হল পাকিস্তান-বিরোধী গণবিক্ষোভ।

```

সব মিলিয়ে পাকিস্তান সরকার রীতিমতো চাপে রয়েছে কারণ দেশের বিভিন্ন অংশ জুড়ে এরকম আন্দোলন শুরু হয়েছে যেখানে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ভেঙে পড়া পাকিস্তান অর্থনীতির অংশ হতে চাইছে না কেউ।