‘অরিজিতের গানে ফিলিংস নেই’বলেন’গুরুকুলে’ তাকে হারানো যুবক!তার এখন অবস্থা জানলে অবাক হবেন!

২০০৫ সালে গানের রিয়্যালিটি শো ‘ফেম গুরুকুল’ জিতে রাতারাতি দেশের প্রতিটি ঘরে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। এই শোতে যাকে তাকে নয়, বর্তমানে ভারতের অন্যতম সফল গায়ক অরিজিৎ সিংহকে হারিয়ে তিনি জয়ী হন। তিনি গায়ক কাজি তৌকির।প্রায় এক দশক আলোকবৃত্তের বাইরে রয়েছেন কাজি। বড় মঞ্চে তাঁকে শেষ বার গান গাইতে দেখা গিয়েছিল ২০১৫ সালে।কবীর খান পরিচালিত ‘ফ্যান্টম’ ছবিতে ‘আফগান জলেবি’ গানটি তিনি গেয়েছিলেন। সেই গান যথেষ্ট জনপ্রিয়তাও পেয়েছিল। তার পরও কাজির ভাগ্যে শিকে ছেড়েনি। কিন্তু অরিজিৎ কে নিয়ে খারাপ কথা বলতে পিছুপা হন নি তিনি।

২০১৫ সালের আগেও গায়ক কাজি যে খুব সফল ছিলেন, তা কিন্তু একেবারেই নয়।‘ফেম গুরুকুল’ জেতার পর থেকে গুটি কয়েক ছবি এবং কয়েকটি অ্যালবামে গান গাওয়া ছাড়া তিনি বিশেষ কিছু করেননি। তবে এই কাজিকেই এক সময় অরিজিতের নিন্দা করতে শোনা গিয়েছিল।সেই সময় ‘ফেম গুরুকুল’ ছিল ছোট পর্দার অন্যতম জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো। এই শোয়ে অনেক গায়কই দর্শকদের মন জয় করেছিলেন। তাঁদের মধ্যেই অন্যতম ছিলেন অরিজিৎ, কাজি, রূপরেখা।কাজি এবং রূপরেখা বন্দ্যোপাধ্যায় যৌথ ভাবে এই শো জেতেন। আর অরিজিৎ ফাইনালের আগেই ছিটকে যান।অরিজিৎকে বাদ দেওয়া নিয়ে শোয়ের আয়োজকদের অনেক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল।

```

তবে শেষ পর্যন্ত তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয়নি।এমন সময় কাজি দাবি করেন, অরিজিৎ ভাল গায়ক হলেও তাঁর গানে আবেগের অভাব রয়েছে।কাজি আরও বলেন, অরিজিতের গানে নাকি অনুভূতি নেই। আর সেই কারণেই অরিজিৎ শো থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।বহু বছর পর অবশ্য তিনি অরিজিৎকে নিয়ে সুর পাল্টে ফেলেন। ২০১৮ সাল নাগাদ এক সাক্ষাৎকারে কাজি বলেছিলেন, “অরিজিৎ আমার বন্ধু। ও এক জন চমৎকার মানুষ। আমরা ফোনে কথা বলি। এমনকি, যখনই আমি লং ড্রাইভে যাই তখন আমি ওর গান শুনি।”অরিজিৎকে নিয়ে কাজি আরও বলেছিলেন, ‘‘অরিজিৎ সব সময়ই নেপথ্য গায়ক হওয়ার স্বপ্ন দেখত। এখন ও এক জন সফল গায়ক। আমি গর্বিত যে অরিজিৎ আমার বন্ধু।”

গায়ক হিসাবে বলিউডে সাফল্য না পাওয়া নিয়েও মুখ খুলেছিলেন কাজি। তিনি বলেছিলেন, “আমি যখন রিয়্যালিটি শোতে ছিলাম তখন আমার অন্য পরিকল্পনা ছিল। আমি সেখানে এক জন গায়ক হিসাবে ছিলাম। আমার উদ্দেশ্য ছিল শেখা। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নয়। পরবর্তী কালে আমার পরিকল্পনা বদলে যায়। আমি কোনও দিনই সেই ভাবে শুধু নেপথ্য গায়ক হিসাবে পরিচিতি পেতে চাইনি।”কাজি আরও বলেছিলেন, ‘‘আমি খুব আলাদা ভাবে চিন্তা করি এবং আমি কোনও বিষয়েই তাড়াহুড়ো করি না। আমি সব সময় ভাল কাজের সন্ধান করি। ভাল কাজ পেলে তবেই করি।’’যদিও নিন্দকদের মতে কাজ না পেয়েই কাজি এই সব কথা বলেছিলেন। তাঁর অবস্থা নাকি ‘আঙুর ফল টক’-এর মতো।

```

গায়ক হিসাবে বিশেষ সুবিধা করতে না পেরে কাজি অভিনয় জগতেও ভাগ্যপরীক্ষা করেন। তবে তিনি সেখানেও সফল হননি।২০০৯ সালে ‘টেক অফ’ নামের একটি সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু সেই সিনেমা বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে।১৯৮৬ সালে কাশ্মীরে কাজির জন্ম। কাজীর বাবা এক জন আইনজীবী। মা শিক্ষক। তাঁর কাকা কাজি রফিও এক জন কাশ্মীরি গায়ক।