মেলা থেকে আলমারি কিনে অবাক যুবক!ভিতর থেকে যা বেরলো, ফিরিয়েও দিলেন!স্যালুট নেটিজেনদের

সারা পৃথিবীটা চোর জালিয়াতে ভরপুর হয়ে গেলেও এখনো কিছু মানুষ এই পৃথিবীতে রয়েছে যারা সততার পথে এগিয়ে চলে এবং সেই সমস্ত মানুষদের জন্যই হয়তো পৃথিবীতে এখনো পর্যন্ত সততা বেঁচে রয়েছে। না হলে যে কোন স্টেশনে অচেনা ব্যক্তির কাছে ব্যাগ দেখতে দিয়ে বাথরুমে গেলেই সেই ব্যাগ যেমন গায়েব হয়ে যেত ঠিকই, আবার অনেক ক্ষেত্রেই সৎ মানুষকে দেখতে পাওয়া যায়। আর এই ধরনের এক অদ্ভুত কান্ড যেখানে একজন মানুষের সততার পরিচয় পাওয়া গেল যা দেখে স্যালুট জানাচ্ছেন নেটিজেনরা।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে, তবে ঠিক কি ঘটনাটি ঘটেছে ? খুব স্বাভাবিকভাবে এই বছরের এই সময়টিতে বিভিন্ন জায়গায় মেলা হয়ে থাকে, ঠিক সেরকমই একটি মেলা চলছিল। আর এই নামখানার কাঁকড়াবুড়ির মেলা থেকে একটি আলমারি কিনেছিলেন পশ্চিম সুরেন্দ্রনগরের দেবব্রত মাইতি। আলমারি কেনার পর তিনি অনলাইনে আলমারির মূল্য প্রদান করেন। এরপর আলমারিটি স্থানীয় ভ্যানচালক পিন্টু শাসমলের ভ্যানে চাপিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এখনো পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। যতক্ষণ না ওই আলমারির দোকানের মালিকের টনক নড়ে।

```

ওই আলমারির দোকানের মালিক তার সমস্ত কেনাকাটার যে টাকা, মেলায় বিক্রি হওয়া অন্যান্য জিনিপত্রের সমস্ত টাকা তিনি ওই আলমারিতেই রেখেছিলেন। আলমারি নিয়ে চলে যাওয়ার পর হঠাৎই সেই কথা মনে পরে আলমারির দোকানদারের। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এরপর কাঁকড়াবুড়ি মেলা কমিটির লোকজনরা সেকথা জানতে পেরে দেবব্রতর খোঁজে বের হয় সকলে। দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজি করা সত্ত্বেও কিন্তু কোনভাবেই সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না সেই যুবকের তবে দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর প্রথমে সন্ধান মেলে ভ্যানচালকের।

ভ্যান চালকের খোঁজ মিলতেই তার পরে সন্ধান মেলে দেবব্রতর। তবে দেবব্রত জানতেনই না তাঁর আলমারির লকারে এত টাকা রয়েছে এবং সেই টাকার সন্ধানে আলমারি বিক্রেতা হন্যে হয়ে তাকে খুঁজছে। এদিকে সবাই তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হলে সকলের সামনে লকার খুলে তিনিও হতবাক হয়ে যান।মেলায় কেনা আলমারির মধ্যে থাকা সেই ৫ লক্ষ টাকা ফেরাল ক্রেতা দেবব্রত। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পাথরপ্রতিমায়।

```

টাকা ফেরত পেয়ে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আলমারি বিক্রেতা। লকারের মধ্যে থাকা টাকা রাখা আছে এই ঘটনা জানার পরেই তৎক্ষণাৎ ফেরত দেন তিনি। সকলের এই সহযোগিতায় খুবই খুশি ছালাউদ্দিন। গ্রামবাসীদের এই ব্যবহার তিনি সারাজীবন মনে রাখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।