অস্কার থেকে অভিনেতার ছবি,গাছের পাতা কেটে অবিশ্বাস্য ছবি এঁকে বাংলাকে গর্বিত করলেন যুবক!

অভাবের সংসার। তবে প্রতিভা প্রচুর। পড়াশোনা করেও চাকরি না মেলায় গৃহশিক্ষকতা করে সংসার চালাতে হয়। মনের ইচ্ছে এবং জেদকে সহচর করে গাছের পাতা কেটে নানা পোর্ট্রেট বানাচ্ছেন দাঁতনের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা বামনদার যুবক সঞ্জয় পয়ড়া। গাছের পাতা কেটে বিভিন্ন মানুষের মুখের আদল গড়ে তুলছেন। পোকা যেমন গাছের পাতা খেয়ে নানা শিল্প গড়ে তোলে তা নয়। যুবক গড়ে তুলছেন এক একটা বড় মানুষের মুখ। যা রীতিমত বিস্মিত করছে মানুষকে।

তিনি বানিয়েছেন আরআরআর সিনেমায় অভিনীত দুই অভিনেতার ছবিও। যা প্রাণবন্ত করে তুলেছে দুজনকে। শুধু তাই নয়, অস্কার স্মারকও বানিয়েছেন দাঁতনের এই যুবক। সব সুষমা গড়েছেন গাছের পাতা কেটেই।জানা গিয়েছে স্বপন অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসে নিজের চেষ্টায় শিখেছেন ছবি আঁকা ও লিফ কাটিং কিংবা চক কার্ভিং এর কাজ। অষ্টম শ্রেণি থেকেই ছবি আঁকা এবং নানান শিল্পকর্মের প্রতি ঝোঁক থাকায় প্রথাগত শিক্ষা না পেয়েও শিল্প শিক্ষায় নিজেকে মেলে ধরেছেন।

```

পাশাপাশি লকডাউনের সময়কালে যখন সকলে গৃহবন্দি তখন নিজের প্রচেষ্টায় লিফ কাটিং আর্ট শেখেন। গাছের পাতা কেটে একের পর এক মনীষীর ছবি, এমনকি লাইভ পোর্ট্রেট তৈরি করেছেন স্বপন।পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের অত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা থেকে বড় হয়ে ওঠা তাঁর। ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ।

প্রশিক্ষণ নিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণের। কিন্তু বাড়িতেই নিজের প্রচেষ্টায় অঙ্কন ও নানান শিল্পে নতুনত্ব আনতে নিজের চেষ্টায় তৈরি করেছেন নানা ছবি। অতি সম্প্রতি গানে মৌলিকত্ব থাকায় আরআরআর সিনেমায় নাট্টু নাট্টু গান অস্কার পুরস্কার লাভ করে।

```

এর পরই স্বপন গাছের পাতা কেটে নাট্টু নাট্টু গানে অভিনীত আর আর আর সিনেমার মূল দুই চরিত্রের পোট্রেট আঁকেন। তারই শিল্পকর্মে সঙ্গ দেন স্ত্রী, বাবা ও মা। পরবর্তীতে আরও উন্নতির শিখরে যেন পৌঁছে যান স্বপন এটাই আশা সকলের।