অকল্পনীয়!কোমর উঁচু বরফের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন ‘সুপারম্যান’ ইন্ডিয়ান আর্মির জওয়ান: ভিডিয়ো

প্রবল ঠান্ডার মধ্যেও কম্বলের তলায় নয়, বরফ ডিঙিয়ে সীমান্তে ঘুরতে হয় সেনা জওয়ানদের। সেই কঠোর পরিশ্রমেরই একটি নিদর্শন সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে সেনাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন নেটিজেনরা। দেখে নিন সেই ভিডিয়ো…

দেশের সুরক্ষার জন্য সর্বোচ্চ বলিদান দিয়ে থাকেন সেনা জওয়ানরা। দিওয়ালির ছুটি নেই, ভালো খাবার নেই, বিশ্রাম নেই, দিনের পর দিন চোখে ঘুম নেই… এক সেনা জওয়ানের জীবন আম জনতার কাছে অকল্পনীয়। প্রবল ঠান্ডার মধ্যেও কম্বলের তলায় নয়, বরফ ডিঙিয়ে সীমান্তে ঘুরতে হয় সেনা জওয়ানদের। সেই কঠোর পরিশ্রমেরই একটি নিদর্শন সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেনা জওয়ানরা প্রবল ঠান্ডার মধ্যেও কীভাবে কোমর উঁচু বরফ ডিঙিয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন, তা দেখা গিয়েছে এই ভিডিয়োতে। মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) রাজু চৌহান এই ভিডিয়োটি পোস্ট করেছেন টুইটারে। এবং ইতিমধ্যেই সেনা জওয়ানকে ‘সুপারম্যান’ আখ্যা দিতে শুরু করেছেন নেটিজেনরা। ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

```

এর আগে কনকনে ঠান্ডার মধ্যে দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে লাদাখে শহিদ হয়েছিলেন ২০ জন জওয়ান। বরফ ঠান্ডা জলে পড়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। তবে তাঁদের সেই আত্মবলিদানে আরও যেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়েছেন বাকি সেনা জওয়ানরা। তাই ফুটে উঠেছে প্রাক্তন সেনা কর্তার পোস্ট করা ভিডিয়োতে। অবসরপ্রাপ্ত মেজরের পোস্ট করা ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, সেনা জওয়ানরা কোমর উঁচু বরফের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলেছেন। তবে সেনা জওয়ানদের মুখে কোনও বিরক্তি বা বেদনার চিহ্ন নেই। বরং রয়েছে স্মিত হাসি। এদিকে ভিডিয়োতে দেখা যায়, একজন বরফে আটকেও যান। তবে বিচলিত না হয়ে সেই জওয়ান নিজের রাইফেল অন্য একজনকে টানতে বলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। এবং বরফের মধ্যে দিয়ে নিজেদের গন্তব্যের উদ্দেশে এগোতে থাকেন জওয়ানরা। ভিডিয়োর ক্যাপশনে মেজর জেনারেল রাজু চৌহান লিখেছেন, ‘তরুণ সৈনিকের মুখে এই হাসিটি লক্ষ্য করুন’।

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ভিডিয়োটে। অনেক নেটিজেনই পোস্টের তলায় কমেন্ট করে সেনার প্রতি নিজেদের সম্মান এবং ভালোবাসা ব্যক্ত করেছেন। ভিডিয়োটি প্রায় ২ লাখ ভিউজ ছাড়িয়ে গিয়েছে।

```

ভিডিয়োতে একজন কমেন্ট করেন, ‘এই নায়কদের জীবন কত কঠিন এবং তবুও তারা প্রতিটি মুহূর্তে মুখে হাসি নিয়ে বেঁচে থাকে। লক্ষাধিক স্যালুট। চিরকাল আমরা ঋণী থাকব।’ অপর একজন লেখেন, ‘হ্যান্ড গ্লাভস ছাড়া কীভাবে কাজ করছেন এই জওয়ান?? সুপারম্যান।’ অপর একজন লেখেন, ‘এই সাহসী জওয়ানদের কারণেই আমরা দেশে শান্তিতে ঘুমোতে পারি।’ একজন লেখেন, ‘আপনি যখন আপনার মায়ের সেবা করেন, তখন আপনার মুখে হাসি ফোটে।’