ম্যাড়মেড়ে পিচ বানিয়েও রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে হার এড়াতে পারেনি পাকিস্তান। প্রথম দফায় বড় রানের ইনিংস গড়েন বাবর আজমরাও। তবে শেষ ইনিংসে ইংল্যান্ডের ঝুলিয়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জিং টার্গেটে পৌঁছতে পারেনি পাকিস্তান। ফলে ঘরের মাঠে হার দিয়ে টেস্ট সিরিজ শুরু করতে হয় তাদের।রাওয়ালপিন্ডির বাইশগজ নিয়ে ম্যাচের শুরু থেকে বিস্তর আলোচনা চলছে। যাতে হারতে না হয়, সেকারণেই পাকিস্তান মরা পিচ বানিয়েছে বলে সমালোচনা কম হয়নি। তবে শেষমেশ তেমন পিচেও ম্যাচ হারতে হওয়ায় পাক দলনায়ক বাবর এই নিয়ে মুখ খুললেন।
আজমকে রীতিমতো বিরক্ত দেখায়। ম্যাচের শেষে সাংবাদিক সম্মলনে পিচ নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিতেও দেখা যায় বাবরকে।পাক দলনায়ক স্পষ্ট জানান যে, পিচ তৈরির আগে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন কিউরেটর। কী ধরনের পিচ চান, সে বিষয়ে কিউরেটরকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেলিন তিনি। তবে তার পরেও পাকিস্তান সে ধরনের পিচ হাতে পায়নি। বলাবহুল্য, বাবর এক্ষেত্রে ঘূর্ণি পিচের অর্ডার দিয়েছিলেন। তবে অর্ডারি পিচে খেলার সুযোগ হয়নি পাকিস্তানের।
বাবর বলেন, ‘পিচ তৈরি নিয়ে আমার মতামত নেওয়া হয়েছিল। আমরা কী ধরনের পিচ চাই, সেটা পরিস্কার করে জানিয়ে দিয়েছিলাম। তবে আবহাওয়া বা অন্য কোনও কারণেই হোক, আমরা সেরকম পিচ হাতে পাইনি। আমরা এমন একটা পিচ চেয়েছিলাম, যেখানে বল ঘুরবে। সেকারণেই আমরা নিজেদের পরিকল্পনা যথাযথ বাস্তবায়িত করতে পারিনি।’
বাবর অবশ্য বোলারদের পারফর্ম্যান্সে মোটেও খুশি নন। তিনি বলেন, ‘যখন বোলররা সঠিক জায়গায় বল রাখতে পারে না, পিচের দু’প্রান্ত দিয়েই রান উঠতে থাকে, ক্যাপ্টেনের কাজ তখন কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে কৃতিত্ব প্রাপ্য ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের। দুই ইনিংসেই ওরা অসাধারণ ব্যাট করে।’উল্লেখ্য, রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ইংল্যান্ডের ৬৫৭ রানের জবাবে পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংসে ৫৭৯ রান তোলে।
৭৮ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। তারা ৭ উইকেটে ২৬৪ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয়। জয়ের জন্য ৩৪৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান ২৬৮ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ইংল্যান্ড ৭৪ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জেতে।