মেলায় খেলনা কিনতে গিয়ে বিশাল পর্দাফাঁস জেরক্সের দোকানে! চাঞ্চল্যকর, হতবাক পুলিশ

বিষ্ণুপুর শহর লাগোয়া সত্যজিৎ সরণি এলাকার একটি ফোটোকপির দোকান। যাকে গোদা বাংলায় বলা হয় জেরক্স এর দোকান, হাজারো মানুষ বিশেষত ছাত্রছাত্রীরা সেখানে দৈনন্দিন জেরক্স করে। এখানেই হলো বিশাল পর্দাফাস এবার..

সামান্য একটা জেরক্স এর দোকানের আড়ালে সেখানে জাল নোট তৈরি হত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।জাল নোট তৈরির কারখানার হদিস মিলল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে। ওই কাণ্ডে জাল নোট চক্রের মূল পাণ্ডাকেও গ্রেফতার করেছে জয়পুর থানার পুলিশ।ওই দোকান থেকে পুলিশ দেড় লক্ষ টাকারও বেশি জাল নোট উদ্ধার করেছে। কিভাবে এই জাল নোটের কারখানার সন্ধান পাওয়া গেল সেই গল্প শুনলেও অবাক হবেন। পুলিশ জানিয়েছে যে..

```

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে বাঁকুড়ার জয়পুর থানার গোপালনগর গ্রামে একটি মেলায় দোকান থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট দিয়ে খেলনা কেনার চেষ্টা করেন গুরুপদ আচার্য (৫৯) নামে এক ব্যক্তি। স্থানীয়রা ওই ব্যক্তিকে ধরে জয়পুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশের জেরায় ভেঙে পড়েন গুরুপদ। এর পর পুলিশ বুধবার রাতেই গুরুপদর বাড়ি এবং বাড়ি লাগোয়া ফোটোকপির দোকানে হানা দেয়।

সেখান থেকে একটি প্রিন্টার, একটি সিপিইউ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দোকানটি থেকে মোট এক লক্ষ ৬৫ হাজার ৫৬০ টাকার জাল নোট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর পর পুলিশ গুরুপদকে গ্রেফতার করে। তিনি আপাতত বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি।

```

গুরুপদর স্ত্রী দীপালি আচার্য বলেন, ‘‘ও যে জাল নোট তৈরি করত, এ সব ব্যাপার আমরা কিছুই জানতাম না। গতকাল ও মেলায় গিয়েছিল। এর পর রাত দেড়টা নাগাদ পুলিশ বাড়িতে আসে। দোকান থেকে কম্পিউটার এবং কিছু নোট নিয়ে যায়। এর বেশি আমরা কিছুই জানি না।’’