২০১৫ সালে স্টেট ব্যাঙ্কের কাঁকটিয়া শাখার অফিস থেকে রামতারক হাট এলাকার বল্লুক অঞ্চল অফিসের কাছে একটি গ্রামীণ শাখার উদ্বোধন হয়। এলাকাবাসী ওই গ্রামীণ শাখায় টাকা জমা রাখেন। কিন্তু কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী অভিযোগ করতে থাকেন, তাঁদের সঞ্চয়ের টাকার থেকে কম টাকা রয়েছে।
জ্যোৎস্না সিং নামে ওই মহিলা জানিয়েছেন, অ্যাকাউন্ট চেক করতে গিয়ে তিনি দেখেন মাত্র ১,৮০০ টাকা পড়ে রয়েছে। তিনি জানান, মাথায় ভাল করে ছাদ নেই, ছেলেকে মানুষ করতে হবে। ওই টাকা না পেলে রীতিমত বিপদে পড়তে হবে তাঁকে। গ্রামীণ শাখায় তাঁর মতন আরও অনেকেই প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ। মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের।
বুধবার বিষয়টা জানাজানি হতেই প্রায় সব গ্রাহক এসে পৌঁছন ব্যাঙ্কে। ব্যাঙ্কের পাসবুক আপডেট করতেই চক্ষু চড়কগাছ প্রত্যেকের। আর এক গ্রাহক জানিয়েছেন, তাঁর অ্যাকাউন্টে ছিল ২১ হাজার টাকা, তিনি দেখেছেন ১৫০০ টাকা পড়ে রয়েছে আপাতত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় তমলুক থানার পুলিশ।
তবে কী ভাবে এই টাকা খোয়া গিয়েছে গ্রাহকদের সেই নিয়ে কিছু বলতে চাইছে না ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। ওই শাখার দায়িত্বে থাকা মাধব মাইতির নামেই উঠছে মূল অভিযোগ। বিডিও, এসবিআই-এর তমলুক শাখার ম্যানেজার, তমলুক থানার পুলিশ সহ অনেকেই বুধবার হাজির হন ওই শাখায়।
এই সিএসপি বা ব্যাঙ্কমিত্র থেকে অনুমানিক দু থেকে তিন কোটি টাকা খোয়া গিয়েছে বলেই অভিযোগ গ্রাহকদের। এই বিষয়ের প্রশাসনের তরফে কেউ কিছু বলতে চাইছে না।