বৃশ্চিক রাশির বিবাহিত জীবন- Karkat rashi married life bengali

কর্কট রাশির ব্যাক্তিদের বিবাহিত জীবন কেমন হয় ?কর্কট রাশির বিবাহিত জীবন?  কর্কট রাশির ব্যাক্তিদের বিবাহ কখন হবে বা কখন বিবাহ করা উচিত

কর্কট রাশি (Cancer): রাশিচক্রের চতুর্থ রাশি হল কর্কট রাশি।বৃশ্চিক রাশির ব্যাক্তিদের বিবাহিত জীবন কেমন হয় ?বৃশ্চিক রাশির বিবাহিত জীবন?  বৃশ্চিক রাশির ব্যাক্তিদের বিবাহ কখন হবে বা কখন বিবাহ করা উচিত এই বিষয়ে অনেক সময়ই প্রশ্ন করে থাকেন  বৃশ্চিক রাশির জাতকরা, তাই এই post এ  বৃশ্চিক রাশির জাতকদের বিবাহ নিযে বিস্তারিত দেওয়া হল যে, বৃশ্চিক রাশির জাতকরা কখন বিয়ে করবেন এবং বৃশ্চিক রাশির বিবাহিত জীবন কেমন হবে এবং কোন সময় বিয়ে করলে আপনার দাম্পত্য জীবন কেমন হবে। তার আগে জেনে নেওয়া যাক বৃশ্চিক রাশির ব্যাক্তির চরিত্র সম্পর্কে কারণ অনেক ক্ষেত্রেই আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।

জন্মমাস: যেসকল ব্যক্তিদের জন্ম ইংরেজি ২১ শে জুন থেকে ২০ শে জুলাই অথবা বাংলার ৮ ই আষাঢ় থেকে ৭ ই শ্রাবণের মধ্যে, তারাই এই রাশির অন্তর্গত হন। এইভাবে জন্ম মাসের ভিত্তিতে সহজেই আপনার রাশি সম্পর্কে জানতে পারবেন। যার ফলে আপনার ভবিষ্যৎ জীবনে চলার পথের বিভিন্ন বাধা বিপত্তি সম্পর্কে আগে থাকতেই আপনি জানতে পারবেন। এমনকি সেই সকল সমস্যার প্রতিকারের উপায়ও জেনে নিতে পারবেন আপনি।

```

বৃশ্চিক রাশির বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-

শুভ রংসাদা
শুভ দিনসোমবার
শুভ সংখ্যা৩৫
শুভ দিকউত্তর পশ্চিম দিক
শুভ সঙ্গী বা সঙ্গিনীসিংহ রাশি
শুভ রত্নমুনস্টোন

চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য: রাশি চক্রের অষ্টম রাশি বৃশ্চিক। এই রাশির অধিকর্তা গ্রহ মঙ্গল। এই রাশির ব্যক্তি প্রায়ই তেজী, নির্ভীক এবং একগুঁয়ে প্রকৃতির হয়। নিজের মতে চলতে ভালবাসে। মঙ্গল প্রধান লোক প্রায়ই স্বেচ্ছাচারি, প্রভুত্বকামী হয়ে থাকে। মঙ্গল অশুভ হলে অহংকারী, দাঙ্গাবাজ ও গুন্ডা প্রকৃতির হয়ে থাকে। এরা প্রায়ই প্রচুর ভু সম্পত্তি বা বাড়ির মালিক হয়। জীবনে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য ন্যায় অন্যায় বিচার করে না। পাইলট, সামরিক অফিসার, সৈনিক, পুলিশ অফিসার, পদস্থ সরকারি কর্মচারী, প্রভৃতি বৃত্তি অবলম্বন করলে জীবনে দ্রুত উন্নতি করবে। অধ্যাবসায়ের দিকে কঠোর পরিশ্রম করে নিজেকে নিজের ভাগ্য গড়ে তুলতে হবে। হঠাৎ কিছু পাওয়ার আশা করা তার পক্ষে উচিৎ হবে না। এই লোকের স্বাস্থ্য ভাল যায় না। বৃশ্চিক, মীন, বৃষ, কর্কট ও সিংহ রাশির লোকের সঙ্গে মিত্রতা বা বিবাহ হলে হবে।

```

এই রাশির ব্যক্তিরা কিছুটা ঘরমুখী, সংবেদনশীল, আত্মকেন্দ্রিক ও খেয়ালি স্বভাবের হয়ে থাকেন। বেশিরভাগ সময়টাই কল্পনার জগতে ঘুরে বেড়ান এই রাশির জাতক জাতিকারা। অর্থাৎ বেশি কল্পনাপ্রবণ হয়ে থাকেন এরা। নিজের মেজাজেই চলতে পছন্দ করেন এরা। তবে নিজের ইচ্ছা মত চললেও, পরোপকার দিকে কিছুটা ঝোক থাকে এই রাশির ব্যক্তিদের। তভে ভালোবাসার বুশয়ে কিছু সমস্যা থাকার কারণে, দাম্পত্য সুখ থেকে বঞ্চিত হবেন এই ব্যক্তিরা।

স্বাস্থ্য: এই রাশির জাতক জাতিকারা খাদ্য রসিক হলেও, এদের খাবার খুব সাবধানেই খাওয়া উচিৎ। কারণ দুর্বল পাকস্থলীর কারণে পেটের সমস্যা লেগেই থাকে। বেশি মশলাদার খাবার থেকে দূরে থাকাই মঙ্গলের। শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম খুবই জরুরী। ব্যায়ামের মাধ্যমেই শরীর সুস্থ থাকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এই রাশির জাতক জাতিকাদের।

ব্যক্তিগত জীবন: ঘর সংসারের প্রতি মন রয়েছে এই রাশির জাতক জাতিকাদের। যার কারণে এরা সহজেই বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যায়। সহজেই নিজের মনের ভাব প্রকাশ করে, ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যায়। নিজের সর্বক্ষমতা দিয়ে ভালোবাসার মানুষের প্রতি সর্বদা খেয়াল রাখেন এই রাশির ব্যক্তিরা। মানুষের মধ্যে থাকতে পছন্দ করার কারণে, বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আত্মীয় বন্ধুদের নিমন্ত্রণ করতে পছন্দ করেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সামান্য সমস্যাও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। সম্পর্ক ভাল রাখতে সকলের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করা প্রয়োজন।

কর্ম জীবন: ব্যবসায়ীক জীবনে সাফল্য আসবে এই রাশির জাতক জাতিকাদের। এরা নিজের বুদ্ধিমত্তার পরিচিয় দিয়ে সকল কাজ করতে পছন্দ করেন। বেশির ভাগ সময় এই রাশির ব্যক্তিরা জনসংযোগ ও সেবামূলক কাজের দিকে আগ্রহ থাকে। যার কারণে তাঁরা মানসিক ভাবে শান্তি পায়। যেসকল কাজে সমাজসেবা মূলক পথ রয়েছে, তাঁরা সেই সব কাজই বেশি পছন্দ করেন। সেই কারণে ডাক্তার, নার্স ও সমাজসেবীর পাশাপাশি হোটেল ব্যবসা, বাগান-নার্সারি ও বৈদেশিক উদ্যমী ও সৃজনশীল কাজের প্রতিও মনযোগী হন।

আর্থিক অবস্থা: ধৈর্য ও উদ্যমী মনভাবের কারণে আর্থিক উন্নতি নিশ্চিত। অর্থের প্রতি আকর্ষণ রয়েছে। আর্থিক সমস্যার দ্রুত সমধান হবে। তবে আর্থিক সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে মানসিক ভাবে অনেকটা চাপ বাড়তে পারে। যার কারণে কিছুটা শারীরিক সমস্যা অনুভব করতে পারেন এই রাশির ব্যক্তিরা। অনেক সময় অর্থের অভাব দেখা দিতে পারে জীবনে। ব্যবসার ক্ষেত্রে সমস্যা এলেও, কোন সমস্যা বেশিদিন স্থায়ী হবে না।

প্রতিকার: এই রাশির ব্যক্তিরা আবেগী হওয়ায় বেশি আবেগ প্রবণতা সমস্যা ডেকে আনে তাঁদের জীবনে। নিজের আবেগকে সংযত রেখে জীবনে এগিয়ে যেতে হবে। সফলতার দিকে এগোনোর জন্য উদ্যমহীনতা ও ভীরুতা দূরে সরিয়ে জীবনে এগিয়ে যেতে হবে। সম্ভব হলে ভালোবাসার মানুষকে কিছুটা সময় দিন। ছোট খাটো সমস্যাকে প্রাধান্য না দিয়ে, সমঝোতার মাধ্যমে সবকিছুর মীমাংসা করুন। জীবনে সাফল্য এবং উন্নতি এবং খুশি সবই ভরপুর থাকবে। অর্থ ব্যয়ের দিকেও মন দিতে হবে, তবেই অর্থ সঞ্চয় করতে পারবেন।