দরিদ্র বাবা দিনমজুরি করে ছেলেদের মানুষ করেন, ৩ ছেলে যা করে দেখালেন,স্যালুট নেটিজেনদের

খুব সুন্দর একটা লাইন আছে, “সেই মানুষ ভাগ্যবান যাদের মাথায় বাবার হাত থাকে, তাদের প্রতিটি ইচ্ছা ও ইচ্ছা পূরণ হয় যাদের বাবা তাদের সাথে থাকে।”

প্রতিটি বাবার স্বপ্ন থাকে তার সন্তানরা লেখাপড়া করে সেই সাফল্য অর্জন করুক, যাতে হাজারের ভিড়ে তারা নিজেদের আলাদা পরিচয় তৈরি করতে পারে। যাতে এটি অন্য মানুষের কাছে অনুপ্রেরণাদায়ক হতে পারে। একজন বাবা তার সন্তানদের যে সুখ দেওয়া উচিত তার সমস্ত সুখ দেওয়ার জন্য তার সম্ভাব্য সবরকম প্রচেষ্টা করে। এর জন্য বাবাকে যতই পরিশ্রম করতে হবে? একজন বাবা দিনরাত পরিশ্রম করলেই তার সন্তানদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হয়। কিন্তু কিছু বাবা আছেন যাদের সন্তানের ইচ্ছা পূরণ করার মতো টাকা নেই। তবুও, কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি, তিনি তার সন্তানদের সাফল্য অর্জনের জন্য সম্ভাব্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করেন।

আজ, এই নিবন্ধটির মাধ্যমে, আমরা আপনাকে এমন একজন বাবার সম্পর্কে বলব যিনি তার সন্তানদের শিক্ষার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। বাড়ি বন্ধক রেখেছিলেন এবং ঋণও নিয়েছিলেন যাতে তিনি তার সন্তানদের শিক্ষিত করতে পারেন, যাতে তিনি একজন ভাল মানুষ হতে পারেন। আজ একটি-দুটি নয়, তার তিন সন্তানই পাইলট হয়ে দেশের সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

ছেলেদের শিক্ষার জন্য দিনমজুরি করেন

অমৃতলাল যিনি মধ্যপ্রদেশের মুরাইয়ার বাসিন্দা। তিনি প্রমাণ করেছেন যে কোনো কাজ মন দিয়ে করলে সেই কঠিন কাজ সহজ হয়ে যায়। এক সময় অমৃতলাল দিনমজুরি করে সংসার চালাতেন, সন্তানকে উচ্চশিক্ষা দেওয়ার মতো আয় ছিল না। কিন্তু তিনি তার সাহস ও স্বপ্নকে শেষ হতে দেননি এবং তা অব্যাহত রেখে কঠোর পরিশ্রম করেছেন।

বন্ধক রাখেন জমিও

তিনি তার পরিবারের জীবিকা নির্বাহের জন্য এবং তার সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য দিনমজুরের কাজ করেন, কিন্তু যখন তিনি দেখলেন যে তার সন্তানদের লেখাপড়া করা কঠিন, তখন তিনি সামান্য সাহায্য করার জন্য ঋণ নেন। তবে ধীরে ধীরে ব্যয় বাড়তে থাকে এবং তাদের আরও সমস্যায় পড়তে হয়। তারপর তিনি তার পিতামহের উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া জমি বন্ধক রাখেন যাতে তার সন্তানদের লেখাপড়ায় কোনো বাধা না পড়ে।

এক ছেলে একটি সস্তা ফ্লাইট সিমুলেটর তৈরি করছে

তার সন্তানরাও বাবার পরিশ্রমের কথা মাথায় রেখে কঠোর পরিশ্রম করে সাফল্য অর্জন করে। আজ অজয় ​​নামে তার এক ছেলে একটি সস্তা ফ্লাইট সিমুলেটর তৈরি করছে যাতে সে দরিদ্র শিশুদের পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। অন্যদিকে অন্য ছেলেরাও পাইলটের চাকরি করে বাবার নাম গর্বিত করছে।