ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতকে নিয়ে এমন মন্তব্য করলেন জার্মানির বিদেশ মন্ত্রী,তোলপাড় সারা বিশ্ব!

বর্তমান মুহূর্তে ভারত বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। আমেরিকা থেকে শুরু করে রাশিয়া বিশ্বের পরম শক্তিধর দেশগুলোতে চাইছে যাতে ভারত তার পাশে থাকে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্বের সমস্ত দেশ দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে, প্রত্যেকটি দেশ কেউ আমেরিকাকে সাপোর্ট করেছে কেউ রাশিয়াকে। তবে ভারতকে এই দুজনের মধ্যে যে কোন একজনকে সাপোর্ট করতে কেউ বাধ্য করতে পারেনি। আর এবার জার্মানির বিদেশমন্ত্রী ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে আরো অনেক কিছুই স্পষ্ট করে দিলেন।

প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে জার্মানি এবং চীন ভীষণ ভাবে বন্ধু রাষ্ট্র ছিল এতদিন পর্যন্ত তবে বেশ কিছু কারণের জন্য চীনের সাথে জার্মানির সম্পর্ক বেশ কিছুটা খারাপ হয়েছে, তাছাড়া চীনে কোন রকমের ডেমোক্রেসি পর্যন্ত নেই, তাই সবকিছু মিলিয়ে চীনের সাথে সম্পর্ক রীতিমত শেষ করেছে জার্মানি এবং এশিয়া মহাদেশে তারা ভারতের সাথে এবার আরও সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চলেছে। ভারতের সাথে জার্মানির সম্পর্ক অতীতে কখনোই খারাপ ছিল না তবে সেই সম্পর্ক আরো বেশি মজবুত হতে চলেছে। জার্মানির বিদেশ মন্ত্রী বলেন ভারতের সাথে ইকোনমির উন্নতিতে আরো বেশি পার্টনারশিপ করতে চলেছি, পাশাপাশি ভারত এবং জার্মানির সেনা, নেভি তারা আরো বেশি ড্রিল করবে একসাথে। শুধু এখানেই শেষ নয় পাকিস্তানকে নিয়েও বেশ কিছু মন্তব্য করেন তিনি।

```

কিছুদিন আগে জার্মানির তরফ থেকে একটা মন্তব্য করা হয় যে জম্মু-কাশ্মীরের ব্যাপারটি ইউনাইটেড নেশনে আলোচনা করা উচিত, যেখানে এত বছর ধরে ভারত স্পষ্ট বলে আসছে যে জম্মু কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ অঙ্গ। আর সেই মন্তব্য কি এবং কেন ছিল তা স্পষ্ট করে দেন জার্মানির বিদেশ মন্ত্রী, স্পষ্ট করে বলে দেন যে সেই মন্তব্য ভুল ছিল এবং কিছু একটা বলতে গিয়ে কিছু একটা বলা হয়ে গেছে, সেটাকে অফিসিয়াল স্টেটমেন্ট হিসেবে ধরার দরকার নেই, আমরা ভারতকে সাপোর্ট করি, এটা ভারত পাকিস্তানের মধ্যেকার ব্যাপার, এটাকে ইউনাইটেড নেশনে নিয়ে যাওয়ার কোন দরকারই নেই।

এর পাশাপাশি ভারত এবং জার্মানির মধ্যে একটি দিল হয় যেখানে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা কিভাবে আরো সহজে জার্মানিতে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারে এবং জার্মানির ছাত্র ছাত্রীরা ভারতে কিভাবে এসে পড়াশোনা করতে পারে, এই নিয়ে একটি ডিল হয়। এটিকে স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ বলা হয়।

```

তাছাড়া জার্মানির বিদেশ মন্ত্রী স্পষ্ট বলেন যে ভারত একটি ডেমোক্রেটিক দেশ, এখানে বাক স্বাধীনতা আছে, মানুষ যেটা চাই সেটা বলতে পারে, সাংবাদিকদের স্বাধীনতা আছে যেমনটা জার্মানিতে আছে।