শ্বশুরবাড়ি কিছুতেই HS পরীক্ষা দিতে দেবে না! যা করল ছাত্রী, স্যালুট জানাচ্ছেন নেটিজেনরা !

নিজের অদম্য জেদ আর অধ্যাবসায়। অবশেষে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিলেন সুলতানা। শ্বশুরবাড়ি থেকে পরীক্ষা দিতে বাধা দেওয়া, পরে পুলিশ প্রশাসনের দারস্থ হয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিলেন কলা বিভাগের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। জানা গিয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষার্থীর নাম সুলতানা খাতুন। বাড়ি তিলডাঙ্গা গ্রামে। বর্তমানে সে তিলডাঙ্গা হাইস্কুলের কলা বিভাগের ছাত্রী। এ বছর তার পরীক্ষার সেন্টার পড়েছে নিউ ফরাক্কা হাইস্কুলে। গত এক বছর আগে বিয়ে হয় ফরাক্কা থানার বিন্দুগ্রামের বান্টি শেখের সঙ্গে।

উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষার্থীর অভিযোগ, পরীক্ষা দিতে দেবে না বলে বৃহস্পতিবার সকালে স্বামী -সহ শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য সদস্যরা বাড়িতে তালাবন্দি করে রাখতে চেয়েছিল। আর সেই সময় সুলতানা খাতুন বাড়ি থেকে পালিয়ে ফরাক্কা থানার দারস্থ হয়। ফরাক্কা থানার আইসি দেবব্রত চক্রবর্তী ছাত্রীর মুখে ঘটনার কথা জানতে পারেন। এমনকি অ্যার্ডমিট কার্ড-সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি ফেলে দেওয়া হয়। এরপর তিনি ওই ছাত্রীর বাড়িতে যান।

```

ফরাক্কা থানার আইসি নিজে গিয়ে দেখেন শ্বশুরবাড়িতে তালাবন্দি ঘর। বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে অ্যার্ডমিট কার্ড ও ব্যাগ উদ্ধার মেলে। তিনি সুলতানা খাতুনকে উদ্ধার করে নিউ ফরাক্কা হাইস্কুলে পরীক্ষায় বসিয়ে দেন। এ দিন তাঁর জন্যই ইংরাজি পরীক্ষা দিতে পেরেছেন ওই ছাত্রী। আর জেদ ও লড়াই সঙ্গী করে শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারকে হার মানিয়ে পরীক্ষা দিতে আসায় তাঁকে অভিবাদন জানিয়েছেন নিউ ফরাক্কা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম-সহ অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা।

সুলতানা খাতুন জানান, আমি পড়তে ভালোবাসি। আমার স্বামী বান্টি শেখ আজ পরীক্ষা দিতে বাধা দিয়েছিল। পুলিশের সহযোগীতায় ইংরাজি পরীক্ষা দিতে পেরেছি। সুলতানার বাবা তাহিদুল শেখ জানান, স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা পরীক্ষা দিতে দিচ্ছিল না। থানার দারস্থ হয়ে আজ পরীক্ষা দিতে পারল।

```

ফরাক্কা থানার আইসি দেবব্রত সরকার জানান, সরকার চাইছে ছাত্র ও-ছাত্রীরা পরীক্ষা দিক। আজ পুলিশকে জানানোয় আমরা পড়ুয়ার পরীক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আগামী দিনে ওই ছাত্রীর সাফল্য কামনা করি।