৫ তলার ফ্ল্যাটে ছাগল ব্যবসা!তদন্ত করতেই হতবাক পুলিশ, বাংলার বুকে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে!

পাঁচতলা বিল্ডিংয়ের ফ্ল্যাটে ঘর। তার খাট থেকে সোফায় রাজকীয় ভাবে থাকত ছাগল! আর সেই ছাগলের পেছনেই চলত কোটি কোটি টাকার লেনদেন। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা উঠে এসেছে এসটিএফের তল্লাশিতে। জানা গিয়েছে, সল্টলেক সেক্টর ৪ এলাকার একটি পাঁচতলা বিল্ডিং-এ থাকতেন ছাগল ব্যবসায়ী মহম্মদ মোমিন খান এবং তাঁর স্ত্রী মেহেতাব বেগম। বছরখানেক আগে এই অ্যাপার্টমেন্টে আসেন দু’জনে।এ দিন হঠাৎই এলাকায় রাজ্যের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের ১৪ অধিকারিক এসে তল্লাশি শুরু করতেই গোটা এলাকা চাঞ্চল্য ছড়ায়।

হকচকিয়ে যান আশপাশের বাসিন্দারা। প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি অভিযান চলে ওই আবাসনে। সেখানেই একটি ঘরে দেখতে পান খাটের উপর টানটান শুয়ে রয়েছে ছাগল। পার্শ্ববর্তী একটি ঘরের আলমারি থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর মাদক।এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট পাঁচ কেজি মাদক উদ্ধার হয়েছে ওই দম্পতির ফ্ল্যাট থেকে। তারমধ্যে সাড়ে তিন কেজি ব্রাউন সুগার ও দেড় কেজি হেরোইন-সহ আরও বেশ কিছু নিষিদ্ধ মাদক। উদ্ধার হওয়া মাদকের বর্তমান বাজার মূল্য ৫ কোটি টাকারও বেশি।

```

এ ছাড়াও আরেকটি ঘর থেকে উদ্ধার হয় প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা নগদ ও কিছু গয়না, যার কোনও সঠিক হিসেব দিতে পারেনি ওই দম্পতি। তল্লাশিতে উদ্ধার হওয়ার টাকা ও গহনা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পার্কসার্কাসের একটি ঠিকানায় হানা দেয় তারা। সেখান থেকেই মোমিন খানের সল্টলেকের ঠিকানার হদিশ মেলে।

ছাগল ব্যবসার আড়ালেই চলত নিষিদ্ধ মাদকের রমরমা ব্যবসা বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ওই দম্পতিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এই মাদক ব্যবসার সঙ্গে আরও বড় কেউ জড়িত কিনা সে বিষয়েও তদন্ত চালাচ্ছে এসটিএফ।

```

সব মিলিয়ে শহর কলকাতার বুকে নিত্য দৈনন্দিন যেভাবে এখানে ওখান থেকে টাকা, মাদক এসব কিছু উদ্ধার হচ্ছে তা রীতিমতো একটা চিন্তার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের কাছে। ঠিক কিভাবে এত রকমের ক্রাইম শহরের বুকে ঘটছে তাকে বাগে আনতে প্রাণপণ চেষ্টা করছে পুলিশ প্রশাসন।