রিকশা চালিয়ে ছেলেকে মানুষ করে বাবা!এক আইডিয়াতে গরীব ছেলে যা করে দেখালেন,স্যালুট নেটিজেনদের

সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আজকাল আমরা অনেক মানুষের বাস্তব জীবনের কঠিন লড়াই এর কথা জানতে পারি। জীবন যুদ্ধের এই কঠিন লড়াইয়ে অনেকে হেরে যান আবার অনেকে সফল হন। প্রতিটি সফলতার পেছনেই থাকে এক হার না মানা অদম্য লড়াইয়ের কাহিনি। পাশাপাশি, নিজের উপর ভরসা এবং জেদের উপর ভর করেই সফলতার শীর্ষে পৌঁছতে পারেন মানুষ। যদিও, এই লড়াইয়ের পথ মোটেও সহজ হয় না। বরং তা প্রতিবন্ধকতায় পূর্ণ থাকে। তবে, নিজের লক্ষ্যে স্থির থেকে যাঁরা এই পথ পেরিয়ে আসতে পারেন তাঁরাই তৈরি করেন উত্তরণের কাহিনি। বর্তমান প্রতিবেদনেও আজ আমরা এমনই এক ব্যক্তির প্রসঙ্গ আপনাদের কাছে উপস্থাপিত করব।

খুবই গরীব ঘরের ছেলে, একটা সময় বাড়িতে টাকার খুবই অভাব ছিল, যুবকের নাম গোবিন্দ। মূলত, গোবিন্দ জয়সওয়াল আজ যে জায়গায় রয়েছেন, তার পেছনে তাঁর বাবার ভূমিকা অপরিসীম। রিকশা চালিয়েই তিনি তাঁর ছেলেকে শিক্ষিত করে তোলেন এবং তাঁর পরীক্ষার প্রস্তুতির খরচও সামলান। জানা গিয়েছে, গোবিন্দের পুরো পরিবার উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে থাকে। ১৯৯৫ সালের আগে পর্যন্ত গোবিন্দের বাবা, নারায়ণ ৩৫ টি রিকশার মালিক ছিলেন। কিন্তু, স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে তাঁকে ২০ টি রিকশা বিক্রি করতে হয়। যদিও, ১৯৯৫ সালে গোবিন্দের মা মারা যান।

```

কিন্তু গোবিন্দ মাথায় ঢুকিয়ে নেন যে তিনি IAS অফিসার হবেন। এমনিতেই, UPSC পরীক্ষাকে দেশের সবচেয়ে কঠিনতম পরীক্ষাগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতি বছর সমগ্ৰ দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ প্রার্থী এই পরীক্ষা দেন। কিন্তু মাত্র কয়েকজন পরীক্ষার্থীই সফলতা পান এখানে। এমতাবস্থায়, IAS গোবিন্দ জয়সওয়াল এই পরীক্ষায় এক্কেবারে প্রথম প্রচেষ্টাতেই হাসিল করেন সফলতা। তবে, তাঁর সফলতার পেছনে রয়েছে এক লড়াকু মানসিকতা। পাশাপাশি, তাঁর এই সংগ্রামের কাহিনি নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত করবে সবাইকে।তাঁর প্রথম প্রচেষ্টাতেই দেশের সবথেকে কঠিন UPSC (Union Public Service Commission) পরীক্ষায় সফলতা লাভ করেন।

ছেলের স্বপ্ন পূরণে রিকশা চালাতে হয়: গোবিন্দ জয়সওয়াল ২০০৪-০৫ সালে UPSC-র প্রস্তুতির জন্য দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এমতাবস্থায়, অর্থের প্রয়োজন হওয়ায় তখন তাঁর বাবা আরও ১৪ টি রিকশা বিক্রি করে দেন এবং নিজেই একটি রিকশা চালিয়ে ছেলের স্বপ্নপূরণ করার সিদ্ধান্ত নেন।

```

এই প্রসঙ্গে দৈনিক ভাস্করের একটি প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে যে, ২০১২-১৩ সাল নাগাদ গোবিন্দ তাঁর বাবার জন্য একটি বাড়ি তৈরি করে দেন। পাশাপাশি, তাঁর পরিবার আগে যে বাড়িতে থাকত এখনও সেটির ভাড়া দেন গোবিন্দ। এদিকে, সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে রেখেই গোবিন্দ নিজের লক্ষ্যে স্থির ছিলেন। আর এভাবেই তিনি তাঁর স্বপ্নপূরণ করতে সচেষ্ট হন।