লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-স্বাস্থ্য সাথী অতীত,’দুয়ারে সরকারে’ সবথেকে বেশি আবেদন পড়ছে নতুন এক প্রকল্পে!

পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় জেলায় চলছে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। আমজনতাকে সরকারি প্রকল্পের আওতায় আনতে রাজ্যজুড়ে চলছে প্রকল্প।গত ১ এপ্রিল থেকে রাজ্যের সমস্ত জেলায় শুরু হয় দুয়ারে সরকারের ষষ্ঠ দফার কর্মসূচি। মাসের পয়লা তারিখ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত জনহিতকর প্রকল্পের আবেদন গ্রহণের ব্যাপারে দিন নির্ধারিত হয়। একইভাবে, ১১ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত গৃহীত আবেদনের পরিষেবা প্রদানের জন্য দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়েছিল। সেই তারিখ বাড়িয়ে করা হয়েছে আগামী ৩০ এপ্রিল। ফলত, আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুয়ারে সরকার শিবির চলবে।

প্রশাসন সূত্রে খবর, এবার ১৬টি দফতরের উদ্যোগে ৩৩টি সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে এই শিবিরে। এবার মূখ্য আকর্ষণ রয়েছে নতুন তিনটি প্রকল্প মেধাশ্রী, বাংলা কৃষি সেচ যোজনা ও ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় দুয়ারে সরকার শিবিরে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ রাজ্য সরকারের ৩৩টি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য এই শিবিরগুলিতে আবেদন করতে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তবে দুয়ারে সরকার শিবিরগুলিতে বর্তমানে যে প্রকল্পের সুবিধা নিতে সবচেয়ে বেশি মানুষ আবেদন করছেন তা হল ‘বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা’ প্রকল্প।

```

নবান্নের তরফে তথ্য প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, এবারে দুয়ারে সরকার শিবিরে মোট ৩৩টি প্রকল্পের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ছয়টি প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে। যার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ‘বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা’। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। তারপরে রয়েছে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প। রাজ্যের অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য ‘বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা’ প্রকল্প চালু করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ সব জায়গাতেই এই প্রকল্পে নাম তোলার জন্য মানুষের ভিড় হচ্ছে। দুয়ারে সরকারের শিবিরে এই প্রকল্পে নাম তোলার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন অসংগঠিত শ্রমিকরা।

ষষ্ঠ দুয়ারে সরকার প্রকল্পে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্যই বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের জন্য ১১ লক্ষ ১৭ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে।অসংগঠিত ক্ষেত্রে যেসকল শ্রমিকরা রয়েছেন, তাঁদের সামাজিক সুরক্ষা যোজনার আওতায় আনার জন্যই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে রাজ্যের শ্রম দফতরের পক্ষ থেকে। ২০২১ সাল থেকে রাজ্য শ্রম দফতরের পক্ষ থেকে এই প্রকল্প চালু করা হয়। তবে, সে সময় সামান্য অর্থ প্রদান করতে হত অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের। তবে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পকে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কোনও অর্থ লাগবে না বলে ঘোষণা করেছেন।

```

এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পগুলিকে একসঙ্গে করে সুবিধাভোগীদের সুবিধা প্রদান করার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগীরা প্রতিবছর হাসপাতালে ভর্তি অথবা বহিরাগত চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকা করে পাবেন। এর পাশাপাশি কর্মস্থানে কাজ হারানোর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ দিনের জন্য ১০০০ টাকা এবং পরে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে দেওয়া হবে। তবে, এই টাকার পরিমাণ ১০ হাজার টাকার বেশি হবে না। উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের আওতায় থাকা পরিবারের সদস্যরা বছরে একবার প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেবেন। সহয়তা হিসেবে প্রতিবছর ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। অসুস্থতার কারণে অস্ত্রোপচারের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রদান করা হবে। শ্রমিকের বয়স ৬০ বছর অথবা শ্রমিকের মৃত্যু হলে, সুদ-সহ পরিবারের সদস্যরা টাকা পাবেন।

বিনা মুল্য সামাজিক সুরক্ষা যোজনার আবেদনের জন্য যা ডকুমেন্টস লাগবে সেগুলি হলো :

  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • সিগনেচার
  • আধার কার্ড (স্ক্যান করা কপি)
  • ভোটার আইডি (EPIC) কার্ড (স্ক্যান করা কপি)