আজকালকার দিনে সারা পৃথিবী জুড়ে যেভাবে ঠক জোচ্চোরদের সংখ্যা বাড়ছে তাতে অনেক সময় মানুষের মনুষ্যত্বের উপর থেকে বিশ্বাস উঠে যায়। আবার তার মধ্যেও কিছু এমন মানুষ থাকে যাদের সৎ কাজকর্মের জন্য মানুষের কোথাও না কোথাও আবারো মনুষ্য জাতিকে বিশ্বাস করতে মন চায়। আর সেই ধরনের একটি ঘটনা সামনে এসেছে।
💖এখনও মানবতা হারিয়ে যায়নি💖উত্তর ২৪ পরগনার একটি ছোট্ট শহর মছলন্দপুর।এখানে থাকে এই সমীর সেন বলে ভাইটি।স্টেশন থেকে ৭ মিনিট এগোলে ওর ছোট্ট একটা ফলের দোকান। ছোট বেলায় যখন মায়ের সঙ্গে পায়ে হেঁটে স্কুল যেতো এমনই এক গরমের দিনে তখন একবার একটি দোকানের মানুষকে তার মা জিজ্ঞাসা করেছিলো জল আছে কিনা খাবার জন্য।সেইসময় সেই লোকটি সমীর ভাইয়ের মাকে জল দেয় নি। আর ঠিক সেই দিনই…
মায়ের সাথে হওয়া এই ঘটনা তার মনে একটা বড় আঘাত ফেলে। সেদিন থেকে সে ঠিক করেছিল যে সে একদিন বড় হয়ে নিঃস্বার্থ ভাবে মানুষকে জল পান করাবে।দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সে একটি ছোট ফলের দোকান চালাচ্ছে।আর এই দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে তৃষ্ণার্ত মানুষদের জল পান করিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন আর দিয়ে যাচ্ছেন একটা বাতাসা।তাকে জিজ্ঞেস করলাম এই বাতসার টাকা তুমি কথা থেকে পাও।উত্তর দিলো যেটুকু সামর্থ্য।।তাকে যখন জিজ্ঞাসা করলাম তুমি এটা করে কি লাভ পাও ?
তখন সে বললো যে তার মা এর মত কত মানুষ এই গরম ও শীত কালে তৃষ্ণার্ত হয়ে থাকে।তাই তাদের কে জল দেওয়ার মধ্যে সে তার মাকে খুঁজে পায়।সে পায় এক অনাবিল আনন্দ।💖❣️❣️💖তোমার মতো এত সুন্দর ভাই আছে বলে আজও আমাদের পৃথিবীটা এতটা এতটা সুন্দর।ভালো থেকো ভাই।সারাজীবন এই মহান কাজ করে যেও ভাই।
💖💖💖সমীরের একটা কথা এখনও কানে বাজে সেবাই মানুষের পরম ধর্ম।মানুষের জন্য মানুষের এই ভালোবাসা ছড়িয়ে পরুক আমদের এই সমাজের প্রতিটা কোনায়💖💖💖Sarwar Sir Golam Sarwar