কঠোর পরিশ্রম আর জেদ দিয়ে যা করে দেখালেন দরিদ্র বাঙালি কন্যা,স্যালুট নেটিজেনদের

পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা পিংলার বড়াই থেকে প্রাথমিক টেটে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন দীপিকা রায়। বিএড পাশ করে করে ২০২১ সালে টেট পরীক্ষার সফল হয়েছিলেন। তবে এবারের পরীক্ষায় রাজ্য স্তরে দ্বিতীয় হয়েছেন দীপিকা।ছোট থেকে ইচ্ছে ছিল শিক্ষক হওয়ার। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও কলেজ স্তরে পড়াশোনার পাঠ শেষ করে বিএড প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন দিপীকা।

২০২১ সালের টেট পরীক্ষায় পাস করে ইন্টারভি ও দিয়েছেন দীপিকা।বাড়ির পাশের বিদ্যালয়ে থেকে মাধ্যমিকে ভাল নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি। পরে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে স্নাতক স্তরে পাস করেন। ছোট থেকে জেদ ও অধ্যাবসায় নিয়ে শিক্ষিকা হওয়ার জন্য পড়াশোনা করেছেন তিনি।

```

দীপিকা বলেন, ‘প্রথম থেকে ইচ্ছা ছিল শিক্ষকতা করবার। সেই মতো প্রস্তুতিও নিই। ২০২১ সালের টেট দেওয়ার অভিজ্ঞতা ও প্রস্তুতি ছিল। এব ছর পরীক্ষার জন্য সামান্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। তবে বিষয়ভিত্তিক যে যে ক্ষেত্রে অসুবিধা ছিল ওইগুলিতে বেশি করে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। রেজাল্ট পেয়ে ভালো লাগছে।’

দীপিকার বাবা গোপাল রায় বলেন, ‘মেয়ে কষ্ট করে প্রস্তুতি নিয়েছে তার ফল সে পেয়েছে আমরা তার ফলে আনন্দিত।’

```

প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা থেকে বড় হয়ে দীপিকা রাজ্যস্তরের টেট পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করায় খুশি এলাকাবাসীও।