‘নজরকাড়া প্রতিভা’য় ‘সেরার সেরা’র স্বীকৃতি! মেধার জোরে যা করে দেখালো শিশু,গর্ব সারা বাংলার!

নজরকাড়া প্রতিভায় ‘বিশ্বসেরার মুকুট’! হাওড়ার সৌজন্য’র সাফল্যে গর্ব হতে বাধ্য। মাত্র ন’বছর বয়সেই ৩৫টির বেশি পদক জিতে তাক লাগিয়ে দিয়েছে হাওড়ার একটি বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর পড়ুয়া সৌজন্য মাঝি। তালিকায় রয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস, হার্ভার্ড ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস, এশিয়া বুক অফ রেকর্ডস, লিমকা বুক অফ রেকর্ডস।

মাত্র নয় বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, রামকৃষ্ণ, এপিজে আবদুল কালাম, মহাত্মা গান্ধী, নেলসন ম্যান্ডেলা, মাদার টেরেসা, শচীন তেন্ডুলকার, লিওনেল মেসি সহ ১৬টি আত্মজীবনী পাঠ করে ও ১৪৫ টি দেশের রাজধানীর নাম, বিজ্ঞান, অঙ্ক, পরিবেশ, সাধারণ বিভাগে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগে অসম্ভব দক্ষতা দেখিয়ে লণ্ডনের হার্ভার্ড ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নিল মেধাবী সৌজন্য।খুব অল্প বয়স থেকেই অত্যন্ত মেধাবী উলুবেড়িয়া পূর্ব কালীনগরের সৌজন্য মাঝি। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে জিতে নিয়েছে সেরার শিরোপা।

```

ছেলের এহেন সাফল্যে বেজায় উচ্ছ্বসিত সৌজন্য’র পরিবার।পরিবার সূত্রে খবর, মাত্র সাড়ে চার বছর বয়স থেকেই বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে একের পর এক পুরস্কার পেতে শুরু করে সৌজন্য। ৩৫টি পুরস্কার এবং শংসাপত্র পায় মাত্র ন’বছর বয়সেই৷ পড়াশুনা ছাড়াও খেলাধুলা, বিশেষ করে ক্রিকেট খেলা দেখা এবং মাঠ নেমে প্র্যাকটিস করা সৌজন্যে’র ভীষণই পছন্দের। ইতিমধ্যেই জিতেছে এপিজে আবদুল কালাম ন্যাশানাম সায়েন্স রের্কডও। চলতি বছর ‘অ্যাবাকাস ম্যাথ প্রতিযোগিতাতে’ও জিতে নেয় সেরার শিরোপা। একই সঙ্গে টেলিগ্রাফ এডুগ্রাফ আয়োজিত প্রতিযোগিতায় পূর্ব ভারত থেকে অংশ নেওয়া ১২০০ ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে সৌজন্য মাঝি টপ ১৮ ফাইনালিস্টের মধ্যে জিতে নেন কে পূর্ব ভারতের ‘অল রাউন্ড পারফর্মেন্স বিভাগে’ সর্বকনিষ্ঠ বিজয়ীর শিরোপা।

ছেলের কৃতিত্ব আনন্দে আত্মহারা মা মৌসুমীদেবী। তিনি বলেন, ‘এখনকার অনেক মা-বাবাই তাঁদের সন্তানদের ওপর অনেক কিছুই চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, অনেক ক্ষেত্রে যা বাচ্চাদের স্বাভাবিক প্রতিভা ও বিকাশকে নানাভাবে ব্যাহত করতে পারে। বাচ্চাদের তাদের মত করে বড় হতে দিন, ওদের ইচ্ছা আগ্রহের দিকে বাড়তি নজর রাখুন, কারণ প্রতিটি বাচ্চা’ই কিছু কিছু প্রতিভা নিয়েই জন্মায় বাবা-মায়ের কাজ সেই প্রতিভা যাতে বিকশিত হয় সেই দিকটা নিশ্চিত করা।”

```

তিনি আরও বলেন, সৌজন্য ছোট থেকেই মেধাবী। ও পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধূলাও দারুণ পছন্দ করে। ক্রিকেটই ওর প্রিয় খেলা। আমি চাই, সৌজন্য বড় হয়ে ওর নিজের পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করুন, স্বাভাবিক ছন্দেই বেড়ে উঠুক ও!মাত্র ৯ বছর বয়সেই পুরষ্কারের ঝুলি! ছেলের এহেন সাফল্যে বেজায় উচ্ছ্বসিত বাবা সুমন মাঝি। তিনি বলেন, “ছেলে ছোট থেকে মেধাবী। আমাকে চাকরির সূত্রে হামেশাই বাইরে বাইরে যেতে হয়। ওর এই সাফল্যে ওর মা, দাদু, ঠাকুমার গুরুত্বকে কোন ভাবেই অস্বীকার করা যায়না। সব সময় ওঁরা সৌজন্য’র পাশে থেকে ওকে উৎসাহ যুগিয়ে গেছেন। ছেলের এই সাফল্য এককথায় অনবদ্য”।

বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায় সৌজন্য। গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে সমাজের জন্য কিছু করার অদম্য ইচ্ছা সবসময় তাড়া করে বেড়ায় খুদে সৌজন্যকে ।