কুম্ভ রাশির বিবাহিত জীবন- Brish rashi married life bengali

কুম্ভ  রাশির ব্যাক্তিদের বিবাহিত জীবন কেমন হয় ?কুম্ভ রাশির বিবাহিত জীবন?  কুম্ভ রাশির ব্যাক্তিদের বিবাহ কখন হবে বা কখন বিবাহ করা উচিত

কুম্ভ রাশি (Aquarius): রাশিচক্রের একাদশ রাশি হল কুম্ভ রাশি। কুম্ভ  রাশির ব্যাক্তিদের বিবাহিত জীবন কেমন হয় ?কুম্ভ রাশির বিবাহিত জীবন?  কুম্ভ রাশির ব্যাক্তিদের বিবাহ কখন হবে বা কখন বিবাহ করা উচিত এই বিষয়ে অনেক সময়ই প্রশ্ন করে থাকেন  কুম্ভ রাশির জাতকরা, তাই এই post এ  কুম্ভ রাশির জাতকদের বিবাহ নিযে বিস্তারিত দেওয়া হল যে, কুম্ভ রাশির জাতকরা কখন বিয়ে করবেন এবং কুম্ভ রাশির বিবাহিত জীবন কেমন হবে এবং কোন সময় বিয়ে করলে আপনার দাম্পত্য জীবন কেমন হবে। তার আগে জেনে নেওয়া যাক কুম্ভ রাশির ব্যাক্তির চরিত্র সম্পর্কে কারণ অনেক ক্ষেত্রেই আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।

জন্মমাস: যে সকল ব্যক্তিদের জন্ম ইংরেজি ২১ শে জানুয়ারি থেকে ২০ শে ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বাংলা ৮ ই মাঘ থেকে ৭ ই ফাল্গুনের মধ্যে, তারাই এই রাশির অন্তর্গত হন। এইভাবে জন্ম মাসের ভিত্তিতে সহজেই আপনার রাশি সম্পর্কে জানতে পারবেন। যার ফলে আপনার ভবিষ্যৎ জীবনে চলার পথের বিভিন্ন বাধা বিপত্তি সম্পর্কে আগে থাকতেই আপনি জানতে পারবেন। এমনকি সেই সকল সমস্যার প্রতিকারের উপায়ও জেনে নিতে পারবেন আপনি।

```

কুম্ভ রাশির বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-

শুভ রংনীল
শুভ দিনশনিবার
শুভ সংখ্যা৫৪
শুভ দিকদক্ষিণ দিক
শুভ সঙ্গী বা সঙ্গিনীমিথুন ও তুলা
শুভ রত্ননীলা

চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য: এই রাশির জাতক জাতিকারা কিছুটা প্রেরণাদায়ক, নমনীয় স্বভাবের হয়ে থাকে। অন্যের উপকার করতে সর্বদা প্রথমে এগিয়ে যায় এই রাশির ব্যক্তিরা। অন্যদের বিপদের দিনে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো, সমস্যার সমাধান করা, সাহায্য করা এদের চরিত্র। এরা গুরুগম্ভীর প্রকৃতির হলেও মিশুক স্বভাবের হয়ে থাকে। চট করে অন্য লোকের সঙ্গে মিশে যেতে পারে এই রাশির ব্যক্তিরা। বিচক্ষণ, চিন্তাশীল হওয়ার কারণে এই রাশির জাতক জাতিকারা সহজেই পরিস্থিতি বিচার করার ক্ষমতা রাখে। এদের চট করে বোকা বানানো যায় না। আবার অনেক সময় এরা উদার, একরোখা প্রকৃতিরও হয়ে থাকে। কিছুটা স্বাধীনচেতা প্রকৃতির হওয়ায়, এরা নিজেদের পথ নিজেরাই তৈরি করতে সক্ষম হয়। এরা সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পছন্দ করেন। তবে এরা ভাবুক, দার্শনিক ও ধর্মপরায়ণও হয়ে থাকে। এই রাশির ব্যক্তিরা প্রথম জীবনে অনেক কষ্টের সম্মুখীন হলেও, পরবর্তী জীবনে কিছুটা সুখের মুখ দেখতে পায়। এরা বেশ চটপটেও হয়ে থাকে।

```

শনিগ্রহের জাতক হলেন এই কুম্ভ রাশি। এই রাশির জাতক জাতিকারা নিষ্ঠাবান, মানবপ্রেমী, সংবেদনশীল, আত্মাভিমানী ও আবদারপ্রিয় প্রকৃতির হয়ে থাকে। এরা আরামপ্রিয় ও কিছুটা অবাস্তববাদিতার হওয়ার কারণে এই রাশির ব্যক্তিদের জীবনে আগত সাফল্য বাঁধা প্রাপ্ত হয়। এদের বন্ধু সংখ্যাও অনেক কম হয়। এরা সাধারণত স্বাধীনচেতা ও পরোপকারী হয়ে থাকে। অর্থাৎ নিজের ইচ্ছা মত কাজ করলেও, এরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে পছন্দ করে। মানুষের বিপদে আপদে ছুটে যায় কোন কিছু চিন্তা ভাবনা না করেই। অন্যের দুঃখে এরাও কেঁদে ওঠে।

স্বাস্থ্য: এই রাশির ব্যক্তিদের কিছুটা শ্বাসকষ্টের রোগ দেখা যায়। তবে মাঝে মধ্যে এরা একটু অসুস্থ বোধ করতে পারে। এই রাশির ব্যক্তিদের শারীরিক অবস্থার অবন্নতি হতে দেখা যায় মাঝে মধ্যে। তবে এই রাশির ব্যক্তিদের মায়ের শারীরিক সমস্যা চিন্তার কারণ হতে পারে।

ব্যক্তিগত জীবন: এই রাশির ব্যক্তিরা সবকিছুতেই ইতস্ততঃ বোধ করে। সেই কারণে অনেক সময় ভুল সিদ্ধান্তের কারণে, এদের অনেক সিদ্ধান্ত হতাছাড়া হয়ে যায়। মানুষের সঙ্গে সহজেই মিশে যেতে পারে। বন্ধুত্ব করতে এদের জুড়ি মেলা ভার। পরিচিত মানুষদের সাহায়ে এদের জীবনে সাফল্য আসে। পরিবারের কোন সমস্যা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝামেলার কারণে কিছু সমস্যা আসতে পারে। তবে পরিবারের সমস্যা অন্যদের সঙ্গে শেয়ার না করাই ভালো। ভালোবাসার ক্ষেত্রে পুরনো সম্পর্ক ঝামেলা বাড়াতে পারে, তবে নতুন সম্পর্ক জীবনে সুখ এনে দেবে। দুঃসময়ে বন্ধুদের পাশে পাবে। সন্তানদের আচরণ খারাপ না হলেও, তাঁদের পড়াশুনা চিন্তার কারণ হবে।

কর্ম জীবন: কর্মক্ষেত্রে সফলতা দেখা দেবে। কাজের জায়গার পরিবর্তন নাও হতে পারে। তবে চাকরী হোক কিংবা ব্যবসা, সবক্ষেত্রেই উন্নতি বর্তমান এই রাশির জাতক জাতিকাদের। কর্ম নিয়ে কোন সমস্যা থাকবে না।

আর্থিক অবস্থা: কর্ম ভালো হলেও, আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো থাকবে না। আর্থিক দিক থেকে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে ঝামেলা থেকে বেরোতে অনেক কষ্টের সম্মুখীন হতে হবে এই রাশির জাতক জাতিকাদের। বেশি ব্যয়ের কারণে, ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে। তবে সেই ঋণ পরিশোধ করতেও সক্ষম হবে এই রাশির ব্যক্তিরা।

প্রতিকার: বেশি হটকারীতা না করে ঠাণ্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ। সবকিছু করার আগেই ভাবনা চিন্তা করে কাজ করা উচিৎ। সর্বোপরি খুঁতখুঁতে স্বভাব ত্যাগ করতে হবে।