মীন রাশির বিবাহিত জীবন- Brish rashi married life bengali

 মীন  রাশির ব্যাক্তিদের বিবাহিত জীবন কেমন হয় ?মীন রাশির বিবাহিত জীবন?  মীন রাশির ব্যাক্তিদের বিবাহ কখন হবে বা কখন বিবাহ করা উচিত

মীন রাশি (pisces): রাশিচক্রের দ্বাদশ রাশি হল কুম্ভ রাশি। মীন  রাশির ব্যাক্তিদের বিবাহিত জীবন কেমন হয় ?মীন রাশির বিবাহিত জীবন?  মীন রাশির ব্যাক্তিদের বিবাহ কখন হবে বা কখন বিবাহ করা উচিত এই বিষয়ে অনেক সময়ই প্রশ্ন করে থাকেন  মীন রাশির জাতকরা, তাই এই post এ  মীন রাশির জাতকদের বিবাহ নিযে বিস্তারিত দেওয়া হল যে, মীন রাশির জাতকরা কখন বিয়ে করবেন এবং মীন রাশির বিবাহিত জীবন কেমন হবে এবং কোন সময় বিয়ে করলে আপনার দাম্পত্য জীবন কেমন হবে। তার আগে জেনে নেওয়া যাক মীন রাশির ব্যাক্তির চরিত্র সম্পর্কে কারণ অনেক ক্ষেত্রেই আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।

জন্মমাস: যে সকল ব্যক্তিদের জন্ম ইংরেজি ২১ শে ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ শে মার্চ অর্থাৎ বাংলা ৮ ই ফাল্গুন থেকে ৭ ই চৈত্রের মধ্যে, তারাই এই রাশির অন্তর্গত হন। এইভাবে জন্ম মাসের ভিত্তিতে সহজেই আপনার রাশি সম্পর্কে জানতে পারবেন। যার ফলে আপনার ভবিষ্যৎ জীবনে চলার পথের বিভিন্ন বাধা বিপত্তি সম্পর্কে আগে থাকতেই আপনি জানতে পারবেন। এমনকি সেই সকল সমস্যার প্রতিকারের উপায়ও জেনে নিতে পারবেন আপনি।

```

মীন রাশির বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-

শুভ রংহলুদ
শুভ দিনবৃহস্পতি ও সোমবার
শুভ সংখ্যা৭৪
শুভ দিকউত্তর- পূর্ব দিক
শুভ সঙ্গী বা সঙ্গিনীকর্কট ও বৃশ্চিক
শুভ রত্নপোখরাজ

চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য: এই রাশির ব্যক্তিরা ছোটবেলা থেকেই উদার প্রকৃতির হয়ে থাকে। বেশিরভাগ সময়ই এরা কল্পনার জগতে থাকে। অর্থাৎ এই রাশির ব্যক্তিরা কিছুটা কল্পনা প্রবল হয়ে থাকেন। যেকোন কাজেই তাঁদের আগ্রহ দেখা যায়। আবার অনেক সময় তাঁদের বেশি আগ্রহ দেখানোর আচরণ, অনেকেই অপছন্দ করেন। এই রাশির ব্যক্তিরা তাঁদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে অসমর্থ হয়। যার ফলে যে কোন সিদ্ধান্ত শুনেই তাঁরা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। সেই কারণে অনেক সময় তাঁরা দোটানায় ভুগতে থাকে এবং অস্থির হয়ে পড়েন। তাঁদের চঞ্চলতার কারণে অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ হারিয়ে ফেলে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, এই রাশির জাতক জাতিকাদের এমন আচরণের কারণে এরা মানুষের থেকে প্রশংসা পাওয়ার বদলে ভুল বোঝার শিকার হয়ে থাকেন।

```

শনিগ্রহের জাতক হলেন এই কুম্ভ রাশি। এই রাশির জাতক জাতিকাদের মধ্যে মানবিক গুণাগুন ভরপুর থাকে। এরা কিছুটা শান্ত প্রকৃতিরও হয়ে থাকে। কিছুটা ভ্রমণ প্রিয় হয় এই রাশির ব্যক্তিরা। আবার অনেক সময় আগে থাকতেই এরা বিপদের আঁচ করতে পারে। আবার বিপদে পড়লে, কাউকে না কাউকে পাশে পেয়েও যায়। এরা নিজের দুঃখ কষ্ট নিজের মধ্যেই চেপে রাখতে পছন্দ করে। কাউকে কিছু না জানিয়ে, নিজের সমস্যা নিজেই মেটানোর চেষ্টা করে। তবে এই রাশির জাতক জাতিকারা অন্যদের বিপদে সর্বদা আগেই ঝাঁপিয়ে পড়ে।

স্বাস্থ্য: এই রাশির ব্যক্তিরা সাধারণ রোগ ভোগ থেকে দূরেই থাকেন। এদের সেভাবে শারীরিক অসুস্থতা দেখা যায় না। বেশিরভাগ সময় এদের সুস্থ স্বাভাবিক থাকতেই দেখা যায়। তবে মাঝে মধ্যে হালকা ভাবে পেট, মাথা ও সর্দিকাশির সমস্যা দেখা দিলেই, তা ক্ষণস্থায়ী। বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। তবে এই রাশির ব্যক্তিরা নিজেরা সুস্থ থাকলেও, পরিবারের কোন সদস্যের শারীরিক সমস্যার কারণে চিন্তায় থাকতে পারেন।

ব্যক্তিগত জীবন: এই রাশির ব্যক্তিরা প্রেমের ব্যাপারে একদমই ব্যর্থ। এদের জীবনে প্রেমের আবির্ভাব ঘটলেও, প্রেমে অসফল হয় এরা। তবে এরা প্রেমে অসফল হলেও, বিবাহিত জীবনে দারুণ সুখ ভোগ করতে পারবে। প্রেমের পাশাপাশি এদের বন্ধু ভাগ্যও খুব একটা সুখের হয় না। তবে এরা এদের বন্ধুদের জন্য জীবন উজার করে সবকিছু করে দিতে পারে। বন্ধুদের সমস্যাকে নিজের মনে করে, বন্ধুর বিপদে নির্দ্বিধায় ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে এরা। তবে অনেক সময় এরা এদের বন্ধুদের থেকে নানাভাবে উপকারও পেয়ে থাকেন। সন্তান ভাগ্য ভালো থাকে এই রাশির ব্যক্তিদের। সন্তানদের কৃতিত্বে, সফলতায় নিজেরাও আনন্দিত এবং উৎসাহিত হয়। তবে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে কিছুটা ফাটল ধরতে পারে।

কর্ম জীবন: চিকিৎসা, শিল্প, সাহিত্য, প্রেস- এই ধরণের পেশার সঙ্গে যুক্ত কাজ এই রাশির ব্যক্তিরা ভীষণ ভাবে পছন্দ করেন। এরা এই ধরণের কাজই নিজের জন্য বেছে নেন। যেখানে তাঁরা নিরাপদে কাজ করতে পারেন, সেই বুঝেই নিজের কর্মস্থান পছন্দ করেন। চাকরী হোক কিংবা ব্যবসা যেকোন ক্ষেত্রেই এই রাশির জাতক জাতিকাদের সাফল্য আসবে। তাঁরা সব কাজের সঙ্গেই নিজেদের মানিয়ে নিতে সক্ষম হবে।

আর্থিক অবস্থা: প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন হল এই রাশির জাতক জাতিকাদের জীবনের একটাই লক্ষ্য। সেই কারণে এরা এদের সুবিধা মাফিক কাজ বেছে নেয়। আর্থিক উপার্জন খুব ভালো হবে। তবে ব্যয় বুঝে শুনে করার কারণে, সঞ্চয় বেশ ভালোই হবে। আর্থিক দিক থেকে স্বচ্ছলতা বজায় থাকবে।

প্রতিকার: ভাগ্যে অনেক বাধা আসবে এই রাশির জাতক জাতিকাদের। সহজে সেই বাধা দূর না হলেও, ভেঙে পড়লে চলবে না। এগিয়ে যেতে হবে জীবনের লক্ষ্যে। মনের চঞ্চলতাকে শান্ত করে কাজ করতে হবে। তবে জীবনে আরও অনেক উন্নতি করা সম্ভব। সর্বোপরি এই রাশির ব্যক্তিদের নিজের একগুঁয়েমি মনোভাবের পরিবর্তন করতে হবে। তাহলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শান্তি এবং সুখকর সম্পর্ক বজায় থাকবে।