মাত্র ৫০০০ টাকা বিনিয়োগ:বাড়ি বসে বানান ‘ওয়েফার’! বিক্রি করুন ১৫ হাজারে,জেনে নিন বিস্তারিত

বর্তমানে চাকরির বাজার খারাপ হবার কারণে অনেকেই ব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন। অনেক ধরনের ব্যবসা থাকলেও, অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না কোন ব্যবসা শুরু করলে অল্প সময়েই ভাল টাকা লাভ হবে। এর ফলে অনেকেই এমন কিছু ব্যবসা বেছে নেন, যেখানে লাভের থেকে লোকসান বেশি হয়।

কিন্তু বর্তমানে এমন একটি ব্যবসা রয়েছে যেখানে খুব কম টাকা বিনিয়োগ করে ভাল টাকা লাভ করা সম্ভব।এই ব্যবসার মাধ্যমে খুব সহজেই অল্প সময়ে মুনাফা অর্জন করা যায়। বাজারে এখন এই ব্যবসার খুবই চাহিদা। এটি হল বিভিন্ন রকমের ফল এবং সবজির থেকে ওয়েফার বানানোর ব্যবসা। এই ব্যবসার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো অনেকেই এই ব্যবসা করতে চান না। এর ফলে প্রতিযোগিতাও খুবই কম। একনজরে দেখে নেওয়া যাক এই ব্যবসার খুঁটিনাটি।

```

ওয়েফার ব্যবসা শুরু করার উপায় –

যে কোন ব্যবসা করার আগেই আপনার জানা উচিত সেখান থেকে আপনার কতটা লাভ হতে পারে। তাই প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক যে এই ব্যবসা থেকে আপনি ঠিক কিভাবে এবং কতটা লাভ করতে পারেন: হিসেব অনুযায়ী এই ব্যবসায় ১০০ কিলো প্রোডাক্ট তৈরি করার জন্য কাঁচামাল, মশলা, তেল, নুন ইত্যাদি কেনার জন্য প্রায় ৫ হাজার টাকা থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ হবে। সবজি এবং ফলের দাম চড়া থাকার সময় এই বাজেট কিছুটা বাড়তে পারে। বাজারে ওয়েফারের দাম হল প্রতি কিলো ১৫০ টাকা। সুতরাং ১০০ কিলোর দাম পড়বে ১৫,০০০ টাকা। ৭ হাজার টাকা খরচ করে ১৫ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। অর্থাৎ এর মাধ্যমে প্রায় ৮ হাজার টাকার মুনাফা লাভ করা সম্ভব। আপনি যদি ১০০ কেজি তৈরি করতে পারেন একদিনে তাহলে আপনার লাভ ৮০০০ টাকা, তবে আপনার যদি ব্যবসা প্রথমে ছোট হয় তাহলে আপনি এর থেকে অর্ধেক পরিমাণ তৈরি করেও ৪০০০ টাকার লাভ একদিনে করতেই পারেন। এবার জেনে নেওয়া যাক এটা আপনি কিভাবে তৈরি করবেন:

এই ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথমে কাঁচা মাল কিনতে হবে। ওয়েফার বানানোর জন্য ফল, সবজি, বিভিন্ন ধরনের মশলা, নুন, তেল ইত্যাদি কেনার প্রয়োজন রয়েছে। সাধারণত সবথেকে বেশি যে জনপ্রিয় সেটা হলো আলুর চিপস বা আলুর ওয়েফার, সেটা খুব সহজেই বানাতে পারেন এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফলের অথবা সবজি দিয়েও আপনি এটা বানাতে পারেন। এছাড়াও ওয়েফার বানানোর জন্য মেশিন কেনার প্রয়োজন, ফল এবং সবজির খোসা ছাড়ানোর জন্য এবং তার পাতলা স্লাইস তৈরি করার জন্য মেশিনের প্রয়োজন তবে আপনার ব্যবসা যখন ছোট থাকবে তখন আপনি এটা নিজের হাতেই করতে পারেন, ওয়েফার তৈরি হয়ে গেলে সেটা প্যাকেটে ভরানোর জন্য মেশিনের দরকার, তবে বেশি টাকা যত দিন না ইনকাম হচ্ছে এটাও আপনি নিজের হাতেই করতে পারেন। তাছাড়া এই ধরনের মেশিন প্রথমেই না কিনে ভাড়ায় নেওয়া যেতে পারে।এছাড়া ওয়েফারের প্যাকেট বাইরে থেকেও প্রিন্টিং করা যেতে পারে। এবার জেনে নেওয়া যাক কতটা মাল আপনি তৈরি করতে পারবেন:

```

এই হিসাব অনুযায়ী প্রতিদিন যদি ৪০ থেকে ৬০ কিলো ওয়েফার তৈরি করা যায় তাহলে সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে এর থেকে প্রতি কিলোতে ৭০ থেকে ১০০ টাকা লাভ করা সম্ভব। সুতরাং এভাবেই প্রতিদিন খুব সহজেই ২৮০০ থেকে ৬০০০ টাকা আয় করা সম্ভব। ওয়েফারের এই ব্যবসায় প্রতি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করা যায়। বর্তমানে মুম্বইয়ের অনেক ব্যবসায়ী এই ওয়েফারের ব্যবসা শুরু করেছেন। কারণ এই ধরনের ওয়েফারের চাহিদা দেশ-বিদেশে খুবই তুঙ্গে। সুতরাং এই ব্যবসার মাধ্যমে খুব অল্প সময়েই ভাল টাকা আয় করা সম্ভব।