চিরঘুমের দেশে পেলে, সন্তানদের কত সম্পত্তি রেখে গেলেন? জানলে অবাক হবেন!

গোটা ফুটবল বিশ্বকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন পেলে (Pele)। মাঠের মধ্যে তাঁর পায়ের জাদুতে মেতে ছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তাঁর শরীরে থাবা বসিয়েছিল মারণরোগ ক্যানসার। বেশ কিছুদিন হাসপাতালে প্রবল লড়াই চালানোর পর বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যুর কথা ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফুটবল সম্রাটের প্রয়াণে শোকাহত গোটা দুনিয়া। পেলের মৃত্যুতে শূন্যস্থান তৈরি হল তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের জীবনে।

১৯৬৬ সালে প্রথমবার বিয়ে করেন ফুটবল সম্রাট। সেই দাম্পত্যের মেয়াদ ছিল মাত্র ১৬ বছর। তিন সন্তানের জন্ম দেন পেলের স্ত্রী রোজমেরি। এরপর ১৯৯৪ সালে আসিরিয়া লেমোস নামে এক মনোবিদের সঙ্গে ঘর বাঁধেন ফুটবল সম্রাট। ২০০৮ সাল পর্যন্ত টিকেছিল তাঁদের সম্পর্ক। এই সময়ে দুই সন্তানের বাবা হন পেলে। ২০১৬ সালে মারসিয়া আওকিকে বিয়ে করেন ফুটবল সম্রাট। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনিই পেলের পাশে ছিলেন।পেলের মৃত্যুতে শোকাহত তাঁর সন্তানরা। সাতজন পুত্র কন্যার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয় ২০০৬ সালে।

```

হাসপাতালে যখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন পেলে, সেই সময় পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর সন্তানরা। তাঁদের মাঝেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ফুটবল সম্রাট। তাঁর কন্যার ইনস্টাগ্রাম থেকেই জানা যায়, না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন ব্রাজিলীয় কিংবদন্তি। মৃত্যুর সময়ে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১০০ মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮২৬ কোটি টাকা। ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পরেও নানা বিজ্ঞাপনের কাজে যুক্ত ছিলেন পেলে। ২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি বছরে পেলের উপার্জন ছিল ১৪ মিলিয়ন ডলার।

পুমা, ভোকসওয়াগেন, এমিরেটসের মতো বিখ্যাত ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ১৯৭৯ সালে হ্যাম্পটনে একটি বিলাসবহুল রিসর্ট কিনেছিলেন ফুটবল সম্রাট। সাড়ে তিন হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে এই রিসর্ট অবস্থিত ছিল একেবারে সমুদ্র সৈকতের কাছেই।

```

কিন্তু ফুটবল ছেড়ে দেওয়ার পর এই রিসর্টে থাকতেন না পেলে। ২০১৮ সালে বিপুল অর্থের বিনিময়ে এই রিসর্টটি বিক্রি করে দেন তিনি